ব্যাগটা খুলেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় ভেলপুরির দোকানদার অমরজিৎ কান্তের। ব্যাগের ভিতরে সোনার গয়না, নগদটাকা, এটিএম কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড— কী নেই!
মঙ্গলবার বিকেলে পানাগড়ের রেলপাড় থেকে দুর্গাপুরে ভগৎ সিংহ মোড়ে ননদের বাড়ি আসছিলেন মৌসুমি ঠাকুর। সিটি সেন্টার থেকে অটো ধরেন। কিন্তু বাড়ি পৌঁছে দেখেন, হাতব্যাগটি সঙ্গে নেই। মাথায় হাত পড়ে তাঁর। অটো ইউনিয়নে ফোন করেও কোনও সূত্র মেলেনি। কেউ হদিস দিতে পারেননি ব্যাগের। শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে সিটি সেন্টার ফাঁড়িতে জেনারেল ডায়েরি করা হয়। কিন্তু ব্যাগ পাওয়া যাবে, এই আশা প্রায় ছেড়েই দেন তাঁরা। মৌসুমিদেবী জানান, ব্যাগে বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না, কয়েক হাজার টাকা রয়েছে। তাছাড়া মোবাইল ফোন ও গুরুত্বপূর্ণ নানা কার্ড, কাগজপত্রও রয়েছে।
সিটি সেন্টারে পার্কের সামনে দোকান পলাশডিহার বাসিন্দা অমরজিৎবাবুর। এ দিন সবে দোকান খুলে বসেছিলেন। সন্ধের মুখে হন্তদন্ত হয়ে এক জন একটি হাতব্যাগ নিয়ে দোকানে ঢোকেন। জানান, সামনেই রাস্তায় একটি অটো থেকে ব্যাগটি পড়ে গিয়েছে। অমরজিৎবাবু জানান, ওই ব্যক্তি দাবি করেন, তাঁর বাড়ি ফেরার তাড়া রয়েছে। তাই ব্যাগটি তিনি দোকানে রেখে যেতে চান। সেটির মালিকের খোঁজ পেলে তিনি যেন সেটি তাঁকে ফেরত দিয়ে দেন। খদ্দের সামলে এক সময়ে ব্যাগটি খুলে অমরজিৎবাবু দেখেন, ভিতরে রয়েছে গয়না, টাকা, মোবাইল, বিভিন্ন কার্ড। সেখান থেকে ফোন নম্বর বের করে তিনি ফোন করেন মৌসুমিদেবীকে।
রাত ৮টা নাগাদ মৌসুমিদেবী দোকানে এলে তাঁর হাতে ব্যাগটি তুলে দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন অমরজিৎবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘এক সঙ্গে এত টাকার জিনিস ছিল ব্যাগে, তাই চিন্তায় ছিলাম।’’ মৌসুমিদেবী বলেন, ‘‘সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তখনই ফোন করলেন অমরজিৎবাবু। ওঁকে ধন্যবাদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy