ঘুঘুডাঙা গ্রামে মধুমিতা মজুমদারের তোলা ছবি।
গ্রামের বাইরে যাতায়াতের একমাত্র পথ গুরজোয়ানি নদী। কিন্তু বর্ষায় ওই নদীর উপরে থাকা বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন নান্দাই পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। কার্যত সাঁতরে পারাপার করতে হচ্ছে বল্লা, মনিরুলদের।
বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এই নদী পেরিয়ে দোকান, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পঞ্চায়েত ভবন, মাঠে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সেতু না থাকায় অন্য সময় যতটা না দুর্ভোগ পোহাতে হয়, বর্ষায় সমস্যা বাড়ে। বাঁশের সাঁকো জলে মিশে যায়। বার বার আবেদন করেও পাকা সেতু আজও তৈরি হয়নি।
এই গ্রামে রয়েছে অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্র এবং প্রাথমিক স্কুল। এই দুই প্রতিষ্ঠানে বাইরে থেকে অনেকে আসে। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সাঁকোর চিহ্ন নেই। বাজার থেকে ফিরে অনেকেই মাথায় মালপত্র নিয়ে সাঁতরে নদী পার হচ্ছেন। এই নদী থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে রয়েছে নতুনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়। সাঁকো না থাকায় পড়ুয়ারা মাথায় ব্যাগ, কাঁধে সাইকেল নিয়ে পার হচ্ছে। বইয়ের সঙ্গে তাদের জামাকাপড়ও রাখতে হয়। স্কুলে ঢোকার ভেজা জামাকাপড় পাল্টে ক্লাসরুমে যেতে হয়। গ্রামের অন্য পাড়ে রয়েছে মসজিদ। রমজান মাস চলায় বারবার গ্রামবাসীদের নদী পেরিয়ে মসজিদে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেতু না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে এলাকার চাষিদেরও। চাষের মালপত্র মাঠ থেকে আনতে বাড়তি নৌকা ভাড়া দিতে হচ্ছে তাঁদের। গ্রামবাসীরা জানালেন, গত বছরও বর্ষায় বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছিল। তবে পঞ্চায়েত সমিতি তড়িঘড়ি একটি নৌকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে পারাপারের তেমন অসুবিধা হয়নি। এ বার এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি বিকল্প কিছুই করেনি।
গ্রামবাসী বল্লা শেখ, মনিরুল শেখ, গিয়া শেখদের ক্ষোভ, ‘‘বহু বছর ধরে আমাদের এই যন্ত্রনা ভোগ করছি। পাকা সেতুর করে দেওয়ার আশ্বাস ছাড়া প্রশাসনের তরফে কিছুই মেলেনি। এ বারও বর্ষায় সাঁকো জলে মিশে গিয়েছে। রাত বিরেতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করব ভেবে কূল পাই না।’’ নান্দাই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তথা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম শেখ জানান, এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রীর উদ্যোগে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে একটি রাস্তা তৈরি শুরু হয়েছে। ওই ঘুঘুডাঙা গ্রামের উপর দিয়েও হবে। রাস্তার সঙ্গেই তৈরি হবে পাকা সেতু। কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রাবণী পাল বলেন, ‘‘ঘুঘুডাঙা গ্রামে এখন কী পরিস্থিতি হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে গত বছরও ওই গ্রামে বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছিল। তখন গ্রামবাসীদের জন্য একটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রয়োজনে এ বারও একটি নৌকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy