E-Paper

সেতুর কাজের দিশা কি মিলবে, অপেক্ষায় কালনা

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সেতুর জন্য কালনার সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের চারটি মৌজায় এবং নদিয়ার শান্তিপুরে জমি কেনার কাজ অনেকটা এগিয়েছে। গোড়ায় জমি কিনতে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে দর জানানো হয়, তাতে অসন্তুষ্ট ছিলেন বহু জমিদাতা।

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৪
আগাছায় ঢেকেছে কালনার সেতুর সীমানা পিলার।

আগাছায় ঢেকেছে কালনার সেতুর সীমানা পিলার। —নিজস্ব চিত্র।

ভাগীরথীর উপরে কালনা ও নদিয়ার শান্তিপুরের মাঝে সেতুর কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে, ২০১৮ সালে জেলায় সভা করতে এসে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের বছরেই এই সেতু তৈরির কথা ঘোষণা হয়েছিল। আজ, বুধবার জেলায় ফের প্রশাসনিক সভা করতে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ওই সেতু তৈরির কাজ এখনও শুরুই হয়নি। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেতুর বিষয়ে কোনও আশার কথা শোনা যায় কি না, অপেক্ষায় কালনার বাসিন্দারা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সেতুর জন্য কালনার সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের চারটি মৌজায় এবং নদিয়ার শান্তিপুরে জমি কেনার কাজ অনেকটা এগিয়েছে। গোড়ায় জমি কিনতে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে দর জানানো হয়, তাতে অসন্তুষ্ট ছিলেন বহু জমিদাতা। তবে দর এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার পরে গতি বাড়ে জমি কেনায়। ২০২১ সালে বহু জমিদাতা সেতুর জন্য জমি দেন। ২০২২ সালেও কয়েক জন সেতুর জন্য জমি দিয়েছেন। সেতুর জন্য কালনার চার মৌজায় প্রায় ৪৯ একর জমি কেনা প্রয়োজন। ১৩১টি প্লটে এখনও পর্যন্ত মোট প্রায় ৪৭.৭৪ একর জমি কেনা হয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ৮২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।

জেলার এক জনপ্রতিনিধির কথায়, ‘‘শুরুতে এই সেতুর জন্য বাজেট এক হাজার কোটি টাকা থাকলেও, কাজ শুরু না হওয়ায় বাজেট বেড়েছে অনেকটাই। কালনার চার মৌজায় সেতুর জন্য জমি কেনা প্রায় শেষ। শুনেছি শান্তিপুরে ৮০ শতাংশর কাছাকাছি জমি কেনা হয়ে গিয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে কালনার অংশে কাজ শুরু হতেই পারে।’’ বাসিন্দাদের দাবি, কালনার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা রয়েছে এই সেতু ঘিরে। সেতুটি তৈরি হলে কালনা-সহ আশপাশের এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি হবে অনেকটাই।

সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতে যে চার মৌজার উপর দিয়ে সেতু হওয়ার কথা, সেখানে গিয়ে দেখা যায়, চিহ্নিত জমির উপরে রয়েছে ছোট ছোট কংক্রিটের খুঁটি। বেশ কিছু খুঁটি ঘিরে গজিয়েছে ঝোপ-জঙ্গল। আবার জমিদাতারা অনেকে পড়ে থাকা জমিতে চাষ-আবাদও করছেন। জগন্নাথ ঘোষ নামে এক জনের কথায়, ‘‘সেতুর জন্য জমি দিয়েছি। সেতুটি হলে কালনার অর্থনীতি অনেকটা চাঙ্গা হবে। আমরা চাই, দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হোক।’’ কালনার বাসিন্দা সনাতন হাজরার বক্তব্য, ‘‘বেশ কয়েকটি ভোটে সেতুর কথা প্রচারে ছিল। এখন তো জমি কেনার কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই কাজ শুরুর বার্তা আসবে।’’

কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল বলেন, ‘‘সেতুর জন্য কালনার চার মৌজা থেকে প্রায় ৯৮ শতাংশ জমি কেনার কাজ হয়ে গিয়েছে। মাত্র ১৫ জনের কাছে অল্প কিছু জমি কেনা বাকি। যা জমি কেনা হয়েছে, তাতে কাজ শুরু হতে কোনও সমস্যা নেই। কেন শুরু হচ্ছে না, সে বিষয়ে জেলা স্তরে খোঁজ
নেওয়া হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy