Advertisement
E-Paper

জল আসেনি, জৌগ্রামে মন্ত্রী প্রশ্নের মুখে

মহিলাদের একদম নিচুতলা পর্যন্ত যেতে হবে। মায়েদের কাছে পৌঁছতে হবে। না হলে কোনও লাভ হবে না।’’ ক’জন খেতমজুর, জনজাতি মানুষের বাড়ি যাওয়া হয়েছে, প্রশ্ন করেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৩৪
কথা বলছেন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

কথা বলছেন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

‘চলো গ্রাম যাই’ কর্মসূচিতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে জামালপুরের জৌগ্রামে আসেন তিনি। গ্রামবাসী তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, অনেকের বিধবা ভাতা নেই। রেশন কার্ড তৈরিতে ঢিলেমি হচ্ছে। এমনকি, সরকারি অনুদানে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে পানীয় জল পাওয়া নিয়েও এলাকাটি বঞ্চিত বলে অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক অলোক মাঝি ও জেলা পরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধাড়ার নজরে আনেন মন্ত্রী। জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্তকে অঞ্চল ধরে কী কী সমস্যা উঠে আসছে, তার রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘জলের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’’ বিধায়ক জানান, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং রেললাইন দিয়ে পাইপলাইন নিয়ে আসায় কিছু সমস্যা রয়েছে।

রাজ্য জুড়ে এই কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। চন্দ্রিমা ছাড়াও সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক স্মিতা বক্সীরা জামালপুরে এসেছিলেন। মহিলাদের নিয়ে একটি সভায় চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘এই কর্মসূচিতে রাজনৈতিক বৈরিতা রাখবেন না। দলমত নির্বিশেষে সবার বাড়ি যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সুফল সবার বাড়িতে পৌঁছেছে কি না খোঁজ নেবেন। সবাই যাতে সামাজিক সুবিধা পান, নজরে রাখতে হবে।’’ সভায় আত্মসমালোচনার সুর শোনা যায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচন না থাকলে এত মহিলাকে জড়ো করা কঠিন হত। মহিলাদের একদম নিচুতলা পর্যন্ত যেতে হবে। মায়েদের কাছে পৌঁছতে হবে। না হলে কোনও লাভ হবে না।’’ ক’জন খেতমজুর, জনজাতি মানুষের বাড়ি যাওয়া হয়েছে, প্রশ্ন করেন তিনি।

সভা শেষে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যান চন্দ্রিমা। সামাজিক সুবিধা নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে গিয়েই অভিযোগ উঠে আসে। বেশ কয়েক জন মহিলা বিধবা ভাতা, রেশন কার্ড পাননি বলে অভিযোগ করেন। আবাস যোজনা প্রকল্প থেকে কেন বঞ্চিত, সে প্রশ্নও করেন। চন্দ্রিমার নির্দেশ, কেন পাওয়া যায়নি, তা মানুষকে বুঝিয়ে বলতে হবে। বিশদ রিপোর্টও চান। বিধায়ক বলেন, ‘‘জলের সমস্যা অনেকটাই মিটেছে। যেখানে সমস্যা রয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।’’ শিখা দত্ত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা কতগুলি গ্রামে গিয়েছি, কী সমস্যা পেয়েছি, বিশদ রিপোর্ট রাজ্যে জমাদেওয়া হবে।’’

Chandrima Bhattacharya TMC Jamalpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy