E-Paper

বধূ নির্যাতনের অভিযোগে চার প্রস্তাব মহিলা কমিশনের

কমিশন সূত্রের খবর, প্রস্তাবগুলি: প্রথমত, ওই যুবতীর নিশ্চিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, অভিযুক্ত শিক্ষক এই মুহূর্তে কলকাতা হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিনে রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ০৮:৫৪
বধূ নির্যাতনের তদন্ত শেষে রাজ্য মহিলা কমিশন চারটি প্রস্তাব দিয়েছে।

বধূ নির্যাতনের তদন্ত শেষে রাজ্য মহিলা কমিশন চারটি প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতীকী চিত্র।

সম্প্রতি এক যুবতী আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। ওই অভিযোগের তদন্ত শেষে রাজ্য মহিলা কমিশন চারটি প্রস্তাব দিয়েছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “প্রস্তাবগুলি কার্যকর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবগুলির কপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর এবং রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরেপাঠানো হবে।”

কমিশন সূত্রের খবর, প্রস্তাবগুলি: প্রথমত, ওই যুবতীর নিশ্চিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, অভিযুক্ত শিক্ষক এই মুহূর্তে কলকাতা হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিনে রয়েছেন। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে পুলিশকে তাঁর জামিন বাতিলের আবেদন করে গ্রেফতার করতে হবে। তৃতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয় কল্যাণ তহবিল থেকে ওই যুবতীকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। চতুর্থত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের দ্বারা ওই যুবতী অসম্মানিত হয়েছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থানিতে হবে।

বৃহস্পতিবার অস্থায়ী উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বলেন, “আমি এখনও মহিলা কমিশনের থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রস্তাব পাইনি। তা পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ দিন ওই যুবতী বলেন, “আমি খুবই অর্থ-সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি। ভারত সরকারের আর্থিক অনুদান বন্ধ রয়েছে। ওষুধ কেনার টাকা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ তহবিল থেকে আমাকে আর্থিক সাহায্য করার কথা থাকলেও, তা দেওয়া হচ্ছে না।” উপাচার্যের দাবি, বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে এ দিন চন্দনকে ফোন, মেসেজ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। যোগাযোগ করা যায়নি অভিযুক্ত শিক্ষকদের সঙ্গেও।

তবে এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে টানা আন্দোলন চলছে। বিষয়টি নিয়ে আইনি-লড়াইও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের দেওয়া প্রস্তাবগুলি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কমিশনের প্রতিনিধিদের একাংশ। এ বিষয়ে লীনা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির কথা আমরা জানি। বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ২৮মে শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে যদি ইতিবাচক পদক্ষেপ করা না হয়, তা হলে, এর পরে যিনিই দায়িত্ব নেবেন, তাঁকে পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Asansol

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy