Advertisement
০২ মে ২০২৪

পঞ্চায়েতে হামলা, প্রহৃত মহিলা প্রধান

শৌচাগার নির্মাণের জন্য টাকা দিতে পঞ্চায়েত ভবনে গিয়েছিলেন কয়েকজন। অভিযোগ, প্রধান টাকা না নিতে চাইলে তাঁকে গালিগালাজ, শ্লীলতাহানি করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০২:০৯
Share: Save:

শৌচাগার নির্মাণের জন্য টাকা দিতে পঞ্চায়েত ভবনে গিয়েছিলেন কয়েকজন। অভিযোগ, প্রধান টাকা না নিতে চাইলে তাঁকে গালিগালাজ, শ্লীলতাহানি করা হয়। এমনকী, মঙ্গলকোটের পালিগ্রামে ওই পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে বেরনোর পথে টানা বোমাবাজিও চলে। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে পালিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বছর উনিশের আগমনী রায় কার্যালয়ে আসার পরেই জনা চারেক যুবক মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগারের জন্য উপভোক্তার তরফে যে ৯০০ টাকা দেওয়ার কথা তা জমা দিতে আসেন। আগমনীদেবীর অভিযোগ, ‘‘আমি টাকা নিতে অস্বীকার করি। কারণ আমার কাছে প্রয়োজনীয় নথি ছিল না। আর এই কাজ সুপারভাইজারের।’’ প্রধানের দাবি, ওদের সুপারভাইজারের মাধ্যমে টাকা দিতে বলায় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে পঞ্চায়েতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়িয়ে, ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও তাঁর দাবি।

উপপ্রধান মজনু শেখও জানান, প্রধানের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ওই দুষ্কৃতীরা। পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে পালানোর সময় ১০-১৫টি বোমা ছোড়া হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। বোমায় স্থানীয় আলিউল্লা শেখ আহত হন বলেও জানান তিনি।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, পালিগ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার উপভোক্তা রয়েছেন। তার মধ্যে হাজার দুয়েক বাড়িতেই এখনও শৌচাগার হয়নি। নিয়ম অনুষায়ী, প্রতি ৫০টি জবকার্ড পিছু এক জন করে সুপারভাইজার থাকে। তিনিই উপভোক্তাদের থেকে শৌচাগার নির্মাণের টাকা নিয়ে পঞ্চায়েতে জমা করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের গড়িমসিতে বেশির ভাগ শৌচাগারের কাজই বাকি পড়ে রয়েছে বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। জানা গিয়েছে, এ দিন পঞ্চায়েতে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাবুল মল্লিক, আবু হোসেন শেখ। নবগ্রাম এলাকার ওই দুই বাসিন্দার দাবি, প্রধান টাকা নিতে না চাওয়ায় বচসা বাধে। তবে শ্লীলতাহানি করা হয়নি। পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে ফেরার পরে উপপ্রধানের নেতৃত্বে পাল্টা তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেন বাবুল।

যদিও উপপ্রধান তা মানতে চাননি। নবগ্রামের বাসিন্দা রমেশ ঘোষ, নিমাই ঘোষেরাও জানান, কার্যালয় ভাঙচুরের শব্দ শুনে বাইরে এসে কয়েকজনকে বোমাবাজি করতে দেখেছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হলে বিষয়টি দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Woman Panchayat Head Attack
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE