Advertisement
০৪ মে ২০২৪

চাকরির দাবিতে খনির কাজে বাধা

এলাকাবাসীর আন্দোলনের জেরে আরও এক বার বাধা পেল ইসিএলের খনি সম্প্রসারণ প্রকল্প। চাকরির দাবিতে এক দল গ্রামবাসীর অবস্থান-বিক্ষোভের জেরে বুধবার কাজ বন্ধ রইল শ্রীপুর এরিয়ার ভানোরা খোলামুখ খনিতে।

তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে চলল বিক্ষোভ। বুধবার ভানোরা খনি এলাকায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে চলল বিক্ষোভ। বুধবার ভানোরা খনি এলাকায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৬
Share: Save:

এলাকাবাসীর আন্দোলনের জেরে আরও এক বার বাধা পেল ইসিএলের খনি সম্প্রসারণ প্রকল্প। চাকরির দাবিতে এক দল গ্রামবাসীর অবস্থান-বিক্ষোভের জেরে বুধবার কাজ বন্ধ রইল শ্রীপুর এরিয়ার ভানোরা খোলামুখ খনিতে। খনি কর্তৃপক্ষের তরফে বিক্ষোভ বন্ধের আর্জি জানানো হলেও তাতে কান দেননি গ্রামবাসীরা। তৃণমূলের ব্যানার-পতাকা নিয়ে অবস্থান চালিয়ে গিয়েছেন। ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, দ্রুত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।

সম্প্রতি শুরু হয়েছে ভানোড়া খোলামুখ খনি সম্প্রসারণের কাজ। মাটি কাটার কাজ প্রায় শেষের মুখে। কিছু দিন পরেই কয়লা কাটার কাজ শুরুর কথা। প্রকল্প এলাকার সামনেই এ দিন সকাল থেকে বিক্ষোভে বসেন ওই গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, খনি সম্প্রসারণের জন্য তাঁরা জমি দিয়েছেন। বিনিময়ে খনিতে চাকরি পাওয়ার কথা ছিল। খনি কর্তৃপক্ষ ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা মেলেনি। কবে মিলবে, কর্তৃপক্ষ জানাতে পারছেন না। তাই তাঁরা নিয়োগ চেয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

বুধবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শ’খানেক গ্রামবাসী তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের পক্ষে তৃণমূলের আসানসোল উত্তর ব্লক সভাপতি উৎপল সিংহের বক্তব্য, ‘‘আমরা খনির উৎপাদন বন্ধ করিনি। খনি কর্তৃপক্ষ যে অন্যায় করছেন তার প্রতিবাদ জানাতে এখানে অবস্থান শুরু করেছি। দাবি না মানা হলে কর্মসূচি চলবে।’’ তাঁরা উৎপাদন বন্ধ করার কথা না মানলেও বিক্ষোভের জেরে এ দিন সকাল থেকে কাজ হয়নি বলে দাবি করেছেন খনি কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, শ্রমিক-কর্মীরা কাজে নামতে পারেননি।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের পড়িরা ও বারাবনির মাজিয়ারা মৌজা থেকে একশো একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে শুরু হয়েছে এই খোলামুখ খনি সম্প্রাসারণ প্রকল্প। গত ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হয়। খনিতে চাকরি ও জমির ন্যায্যমূল্যের বিনিময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জমি কিনেছে ইসিএল। প্রায় ১৪৮ জন গ্রামবাসী জমি দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৬ জনের জমি রেজিস্ট্রিও করে নেওয়া হয়েছে। মাটি কাটার কাজ শুরু হয়ে গেলেও কোনও জমিদাতাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

বিক্ষোভের জেরে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার শিউপুজন ঠাকুর বলেন, ‘‘আমরা নিয়োগপত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছি। দ্রুত সেগুলি বাসিন্দাদের দেওয়া হবে। গ্রামবাসীদের কাছে সহযোগিতা করার আবেদন করেছি। আশা করি তাঁরা বিষয়টি বুঝবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Agitation Mine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE