Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের

প্রচার মধ্যগগনে। কড়া রোদে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পথসভা, রোড-শো শুরু করেছেন প্রায় সব দলের প্রার্থীরাই। তবে জেলায় একমাত্র বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত না হওয়ায় সেভাবে প্রচার শুরু করতে পারেননি কংগ্রেস কর্মীরা। তবে শুক্রবার মনোনয়ন তোলার শুরু হতেই ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন তুললেন পানাগড়ের বাসিন্দা প্রদীপ অগস্তি।

প্রদীপ অগস্তি। নিজস্ব চিত্র।

প্রদীপ অগস্তি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০১:১১
Share: Save:

প্রচার মধ্যগগনে। কড়া রোদে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পথসভা, রোড-শো শুরু করেছেন প্রায় সব দলের প্রার্থীরাই। তবে জেলায় একমাত্র বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত না হওয়ায় সেভাবে প্রচার শুরু করতে পারেননি কংগ্রেস কর্মীরা। তবে শুক্রবার মনোনয়ন তোলার শুরু হতেই ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন তুললেন পানাগড়ের বাসিন্দা প্রদীপ অগস্তি।

তিনি বলেন, “দিল্লি থেকে একাধিক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে আমিই দলের প্রার্থী। অধীরবাবুও একই কথা জানিয়েছেন। তাই বৃহস্পতিবার থেকে গলসিতে প্রচার শুরু করেছি। মনোনয়নের নথিপত্রও তুলে নিয়ে গেলাম।” প্রদীপবাবুর সঙ্গে থাকা জেলা কংগ্রেসের এক নেতা কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সোমবারই উনি মনোনয়ন জমা দেবেন। তারপরে একটানা প্রচার শুরু হবে।”

প্রদীপবাবু পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। অনর্গল ইংরেজিতেই কথা বলতেই অভ্যস্ত। একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কর্ণধারও। নিজেই জানালেন, ১৯৬৭ সাল থেকে কংগ্রেস করি। শ্রমিক ফ্রন্ট, ট্রেড ইউনিয়নে কাজ করি। পারিবারিক ভাবেই আমরা কংগ্রেস সমর্থক। তবে উল্টো সুরও শোনা যাচ্ছে। অনেকেরেই অভিযোগ, প্রদীপবাবু এখন রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। কংগ্রেসের সঙ্গে তেমন সম্পর্কও নেই। তবে এ দিন অবশ্য তাঁর জবাব, “আমাদের পানাগড়ের বাড়িতে ১৯৮১ সালে ইন্দিরা গাঁধী এসেছিলেন, জানেন? এরপরেও কী করে বলা হচ্ছে, কংগ্রেস করতাম না? ইন্দিরা যাঁদের বাড়িতে আসেন তাঁরা কংগ্রেসের লোক নন?”

বৃহস্পতিবার গলসি বিধানসভা উপনির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী স্বপন মালিকের সঙ্গে মিছিলে হাঁটা দিয়ে প্রচার শুরু করেন প্রদীপবাবু। তখনও জেলার গ্রামীণ বা শিল্পাঞ্চলের অনেক কংগ্রেস নেতাই জানেন না, তিনিই বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী। ফলে অনেকেই বিধানসভার প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর এক মিছিলে হাঁটা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। জেলা কংগ্রেস গ্রামীণের সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে জানতে পারি, উনি আমাদের প্রার্থী হয়েছেন। তবে বিকেলে ওই খবর পাইনি। মনে হয়, উনি আমাদের বিধানসভার প্রার্থীর সমর্থনেই গলসিতে মিছিলে হেঁটেছেন।”

আর প্রদীপবাবু বলেন, “আমি পাকা খবর পেয়েই গলসি থেকে প্রচার শুরু করেছি। হাতে একদম সময় নেই। অন্য দলগুলো তো কয়েক দফা প্রচার সেরে ফেলেছে। দ্রুত প্রচার শুরু করতে হবে। সোমবার মনোনয়ন জমা দিয়েই আমি ঝাঁপিয়ে পড়ব।” কিন্তু দেরিতে শুরু করায় লড়াইটা ঢিলে হয়ে যাবে না? প্রদীপবাবুর জবাব, “শিল্পাঞ্চলের শ্মশানের দশা চলছে। শিল্পস্থাপনের জন্য বামেরা কিছু করেনি, তৃণমূলও কিছু করেনি। দু’পক্ষই শুধু কথার ফুলঝুরি শোনাচ্ছে মানুষকে। এই বঞ্চনার কথাই তুলে ধরব আমি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE