Advertisement
১৭ মে ২০২৪

আঁধারেই ডুবে গাঁধীগ্রাম কুষ্ঠ কলোনি

প্লাস্টিকের ছাউনি মোড়া সারি সারি ঝুপড়ি। বাসিন্দাদের প্রায় কারও কাছেই নেই বিপিএল ও রেশন কার্ড। কলোনির মধ্যে শৌচাগার নেই। আসেনি বিদু্যুৎ। ভোট দিতে যেতে হয় প্রায় ১২ কিমি উজিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই ভাবেই বসবাস করছেন দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার লাগোয় গাঁধীগ্রাম কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দারা।

প্লাস্টিকের ছাউনিই ভরসা।—নিজস্ব চিত্র।

প্লাস্টিকের ছাউনিই ভরসা।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৪ ০০:৪৫
Share: Save:

প্লাস্টিকের ছাউনি মোড়া সারি সারি ঝুপড়ি। বাসিন্দাদের প্রায় কারও কাছেই নেই বিপিএল ও রেশন কার্ড। কলোনির মধ্যে শৌচাগার নেই। আসেনি বিদু্যুৎ। ভোট দিতে যেতে হয় প্রায় ১২ কিমি উজিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই ভাবেই বসবাস করছেন দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার লাগোয় গাঁধীগ্রাম কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯১ সালে সগড়ভাঙার কুষ্ঠ কলোনিতে অশান্তির কারণে ওই কলোনি ছেড়ে প্রায় ৩৫টি পরিবার চলে আসেন জিটি রোডের ধারে দুর্গাপুর পুরসভার পাশে। সেখানেই গাঁধীগ্রাম কুষ্ঠ কলোনি গড়ে বাস শুরু করেন তাঁরা। কলোনির বাসিন্দাদের অনেকেরই চিকিৎসায় রোগ সেরে গিয়েছে। কয়েকজন সেরে ওঠবার মুখে। কলোনির বাসিন্দাদের দাবি, পুরসভার সামনে বসবাস করতে শুরু করার পরে তাঁরা প্রশাসনের কাছে বার বার তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন বসবাসের পরেও কোনও সরকারি সুযোগ মেলেনি। কলোনির বাসিন্দা শিবু রায় জানান, কলোনির বেশির ভাগ পুরুষ রিকশা চালান। মেয়েরা বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। কলোনির অপর বাসিন্দা মানিক রুইদাস বলেন, “কলোনির মধ্যে কোনও শৌচাগার নেই। বিদ্যুৎও নেই। অন্য সুবিধা তো দূরের কথা, প্রশাসনের কাছ থেকে ত্রিপলও পাই না। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাড়ির ভিতরে জল পড়ে।” কলোনির বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন সগড়ডাঙা ছেড়ে চলে আসলেও এখনও তাঁদের ভোট দিতে সগড়ভাঙায় যেতে হয়। ফলে হঠাৎ কোনও সমস্যায় পড়লে স্থানীয় কাউন্সিলারের কাছে গিয়ে লাভ হয় না। কলোনির মহিলা মিতা রায়, মালতি কর, বালিকা মল্লিকদের আক্ষেপ, “কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য মেয়রের কাছে যেতে হয়। সরাসরি কিছু করতে পারি না।”

কলোনিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, এলাকায় দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। প্লাস্টিক মোড়া ঝুপড়িগুলি আঁধার নামলেই ডুবে যায় অন্ধকারে। প্রশাসনের কোন স্তরে গেলে কী ভাবে ভোটার কার্ডের স্থান বদল করা যাবে, কিংবা কী ভাবে মিলবে রেশন কার্ড, বাসিন্দাদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। দুর্গাপুরের মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই কলোনির বাসিন্দারা তাঁদের সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনও লিখিত আবেদন করেননি। তা করলে বিষয়গুলি অবশ্যই সমাধানের চেষ্টা করব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

durgapur city center gandhigram leprosy colony
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE