জেলার তিনটি পুরসভার এলাকা পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণের তালিকা আজ, সোমবার প্রকাশ করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপাতত এই তালিকার দিকেই তাকিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহল।
২০১৫ সালের মে মাসের মধ্যে কালনা, মেমারি ও দাঁইহাট পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। রাজ্য সরকারের এপ্রিলেই পুর নির্বাচন করতে চায় বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে রদবদলের কাজ শুরু করা হয় বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ওয়ার্ডগুলিতে মহিলাদের সংখ্যা, তফসিলি সম্প্রদায়ের কতজন বাসিন্দা রয়েছেন ইত্যাদি বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে পুনর্বিন্যাসের কাজ করা হয়। অনেক সময় কোনও ওয়ার্ডের লোকসংখ্যা বেশি হয়ে গেলে তৈরি হয় নতুন ওয়ার্ড। সাধারণত পুর বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কয়েক মাস আগেই এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এ কাজ শেষ হয়েছে তিন পুর এলাকাতেই। মহকুমাশাসকেরাও তাদের রিপোর্টও পৌঁছে দিয়েছেন জেলায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, তিন পুরসভাতেই ওয়ার্ডের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকছে। তবে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড সাধারণ থেকে মহিলা ও মহিলা থেকে সাধারণ বা তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যেতে পারে।
সংরক্ষণের আওতায় পড়তে পারে ভেবে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপি। প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতৃত্বের কাছে সাধারণ, মহিলা, তফশিলি মহিলা ও তফশিলি জাতি - এই চার ধরণের প্রার্থীর সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। বিজেপি-র জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিক বলেন, “তিনটি পুরসভাতেই নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে ধরে নিয়েই দল এগোচ্ছে। প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে, যাতে পরে কাজ করতে সুবিধা হয়।”
তবে সিপিএম ও তৃণমূলের তরফে জানা গিয়েছে, তালিকা দেখার পরই প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দলীয় স্তরে ভবনা চিন্তা করা হবে। পুরপ্রধান তথা কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিত্ কুণ্ডু বলেন “এলাকা পুনর্বিন্যাসের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। কী কী পরিবর্তন হচ্ছে দেখে নিয়েই প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত করা হবে।” সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটি-র সদস্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আজকের তালিকা দেখার পরই প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলে আলোচনা হবে।”
রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, কালনা পুর এলাকায় সংরক্ষণ ও এলাকা পুনর্বিন্যাসের জেরে ওয়ার্ডগুলির চেহারায় বড় রদবদল হতে চলেছে। আগামী পুর নির্বাচনে সিপিএমের তিন জন, তৃণমূলের তিন জন ও কংগ্রেসের এক জন জয়ী কাউন্সিলর তাঁদের পুরনো ওয়ার্ড থেকে সম্ভবত দাঁড়াতে পারবেন না। তবে পুরসভার বিরোধী দলনেতা গৌরাঙ্গ গোস্বামী ও পুরপ্রধান বিশ্বজিত্বাবুর ওয়ার্ডে কোনও রকম রদবদলের সম্ভাবনা নেই বলেই খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy