Advertisement
০২ মে ২০২৪

কেতুগ্রামে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন সূর্যের

আগুনে পুড়ে কেতুগ্রামে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৪ ০৮:০৩
Share: Save:

আগুনে পুড়ে কেতুগ্রামে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। শুক্রবার কলকাতায় তিনি বলেন, “ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে পুলিশ যে ব্যবহার করেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, শাসকদলের সর্বোচ্চ স্তর থেকে চাপ না থাকলে এমন ঘটে না!” একের পর এক এই ধরনের ঘটনার পরেও সরকারের কোনও লজ্জা নেই বলে মন্তব্য করেন সূর্যবাবু।

শুক্রবার সকালে বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চৈতালি কৈবর্ত নামে ওই ছাত্রী চিকিৎসকের কাছে জবানবন্দিতে জানিয়েছিল, আগের রাতে অমর মাজি নামে এলাকার এক যুবক-সহ চার জন বাড়িতে ঢুকে তাকে টানাহ্যাঁচড়া করেছিল। পরে ফোনে খুনের হুমকিও দেয়। ভয়ে-লজ্জায় সে গায়ে আগুন দেয়। এই জবানবন্দি দেওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই মেয়েটি মারা যায়। বর্ধমান জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, “বাড়ির লোক অভিযোগ করার আগেই পুলিশ ওই ছাত্রীর মৃত্যুকালীন জবানবন্দির ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে। কোনও গাফিলতি হয়নি।”

রাতে মৃতার পরিবারের তরফে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ অমরকে গ্রেফতার করে। কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের বক্তব্য, “অভিযোগ হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরেছে। আমি নিজেও মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিলাম।” মৃতার মামাতো দাদা তথা পড়শি সুভাষ কৈবর্তও বলেন, “পুলিশ প্রথম থেকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। অভিযুক্ত গ্রেফতারও হয়েছে।” যদিও সোমবার রাত পর্যন্ত পুলিশ বাকি তিন অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি। কেতুগ্রাম থানার বক্তব্য, মেয়েটি বলেছিল, বাকিদের সে চেনে না। পরে পরিবারের তরফে শুধু অমরের নামেই অভিযোগ করা হয়। তাই বাকিদের পরিচয় স্পষ্ট হয়নি। যদিও পুলিশি হেফাজতে থাকা অমরকে জেরা করে তাদের সন্ধান পাওয়া গেল না কেন, তা স্পষ্ট নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ketugram student killed suryakanta mishra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE