ফোনে এটিএম কার্ডের ১৯ সংখ্যার নম্বর ও পিন জেনে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ বেড়েই চলছে কালনায়। তবে বারবার একই ধরণের ঘটনা ঘটলেও কোনও ক্ষেত্রেই ধরা পড়ছে না অভিযুক্ত। সম্প্রতি আবারও এই ধরণের প্রতারণার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে কালনা ১ ব্লকের কোম্পানিডাঙার বাসিন্দা সালাত আলি শেখ পুলিশকে জানান, কার্ডের উপরের অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারছেন না তিনি। ৩১ ডিসেম্বর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েও বিষয়টি জানান তিনি। ব্যাঙ্কের পরামর্শ মতো অনুসন্ধান বিভাগে ফোন করে অভিযোগ জানাতে চান সালাত আলি শেখ। কিন্তু কোনও কারণে তা সম্পূর্ণ হয় না। এরপরেই ওই ব্যাঙ্কের নাম করে একজন ফোন করে তাঁর কাছ থেকে ওই ১৯ সংখ্যার নম্বরটি জানতে চান। কোনও সন্দেহ না করেই নম্বরটি দিয়ে দেন সালাত আলি শেখ। এরপরে ৪ জানুয়ারি ওই একই ব্যক্তি আবারও ফোন করেন। সালাত আলি শেখের দাবি, ফোনে তাঁকে জানানো হয় এটিএম কার্ডের সমস্যা মিটে গিয়েছে। শীঘ্রই কুরিয়ার মারফত নতুন কার্ড পেয়ে যাবেন তিনি। পরের দিন চেক মারফত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে সালাত আলি শেখ দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্টে ৯৪১ টাকা পড়ে রয়েছে। মাথায় হাত পড়ে তাঁর। ব্যাঙ্ককে তিনি জানান, তাঁর অ্যাকাউন্টে ৪২ হাজার টাকা ছিল। ব্যাঙ্কের তরফেও নথি চেক করে জানানো হয়, ৪ তারিখ ৪০ হাজার ও ৫ তারিখ হাজার টাকা তোলা হয়েছে ওই আকাউন্ট থেকে। এরপরেই থানায় অভিযোগ জানান তিনি। সালাত আলি শেখের আইনজীবী শুভাশিস হালদার জানান, পুলিশ যাতে দোষিদের খুঁজে বার করতে পারে তার জন্য সমস্ত তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে। কালনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।
গ্রামগঞ্জের মানুষদের ব্যাঙ্ককর্মী পরিচয় দিয়ে কৌশলে ওটিএম কার্ডের পিন নম্বর জেনে টাকা হাতানোর ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। কালনার বেগপুর এলাকার এক ব্যাক্তি এবং নাদনঘাট এলাকার এক অঙ্গনওয়ারী কর্মীও একই অভিযোগ জানিয়েছিলেন পুলিশকে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রতারকেরা সম্প্রতি ভিনরাজ্যের একটি ব্যাঙ্কের দুটি ভুয়ো চেক দিয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার এবং এসিএমএইচের সই নকল করে কালনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ১৭ লক্ষেরও বেশি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। সুপার থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও কিনারা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy