Advertisement
০২ মে ২০২৪

গোলাপবাগের বিভিন্ন গাছ, প্রজাপতি সংরক্ষণে মউ চুক্তি

গোলাপবাগ ক্যাম্পাস, রমনাবাগান, কৃষ্ণসায়র ইত্যাদি এলাকার নানা জাতের গাছ, পাখি, প্রজাপতি সংরক্ষণে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে মউ চুক্তি করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল পরমজিৎ সিংহের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল রাজবাটিতে ওই চুক্তি সাক্ষর করেন। উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের দাবি, “স্বাধীনতার পরে রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনও কেন্দ্রীয় গবেষণামূলক সংস্থার সঙ্গে এমন চুক্তি হয়নি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৪ ০০:১২
Share: Save:

গোলাপবাগ ক্যাম্পাস, রমনাবাগান, কৃষ্ণসায়র ইত্যাদি এলাকার নানা জাতের গাছ, পাখি, প্রজাপতি সংরক্ষণে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে মউ চুক্তি করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল পরমজিৎ সিংহের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল রাজবাটিতে ওই চুক্তি সাক্ষর করেন। উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের দাবি, “স্বাধীনতার পরে রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনও কেন্দ্রীয় গবেষণামূলক সংস্থার সঙ্গে এমন চুক্তি হয়নি।” তিনি জানান, বর্ধমানের রাজারা অতীতে দেশ-বিদেশের নানা ধরনের লতা-গুল্ম, গাছপালা এনে গোলাপবাগ, তারাবাগ, কৃষ্ণসায়র, রমনাবাগান ইত্যাদি এলাকা সাজিয়েছিলেন। পুরনো নথিপত্রে ব্রিটিশ উদ্ভিদবিদ এনে গোলাপবাগকে সাজানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তাঁর দাবি, “বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদদের সঙ্গে পরিবেশ রক্ষা বিষয়ে তথ্যের আদানপ্রদান হবে। বাইরে থেকে গবেষকেরা এসে পড়ুয়াদের উদ্ভিদের সংরক্ষণ হাতে কলমে শেখাবেন।” এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অম্বরিশ মুখোপাধ্যায় গোলাপবাগে থাকা বিভিন্ন পুরনো বৃক্ষের তালিকা তুলে দেন পরমজিৎ সিংহের হাতে। তাতে দেখা গিয়েছে, ১৫৪টি প্রাচীন মেহগনি গাছ রয়েছে গোলাপবাগে। তাছাড়া শতাধিক প্রজাতির পাখি ও প্রজাপতি যাতাযাত রয়েছে। রয়েছে ২০০ রকমের মাকড়শা। কিছুটা সংরক্ষণ হওয়ার পরে গোপালবাগ, রমনাবাগান ও কৃষ্ণসায়র এলাকা সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলেও উপাচার্যের দাবি। এলাকাবাসীদের দাবি, সারা বছব ধরে কৃষ্ণসায়রে বসবাস করা নানা প্রজাতির পাখি বা পরিযায়ীদের সম্পর্কে কোনও পরিসংখ্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নেই। সম্প্রতি কৃষ্ণসায়রে নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণকারীদের একজন উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে ওই পাখিদের গণন ও তথ্যাবলী সংরক্ষণ করার অনুরোধ করেন বলেও জানা গিয়েছে। উপাচার্যের আশ্বাস, “পরিবেশের উন্নয়নের জন্য গোলাপবাগ, কৃষ্ণসায়র ও রমনার বাগান এলাকায় কোনও কংক্রিটের নির্মাণ হবে না। পুরো এলাকার এক তৃতীয়াংশ যাতে জল, গাছপালা দিয়ে ঘেরা থাকে সেই উদ্যোগও করা হবে। তারপরে ওখানে বসবাসকারী প্রাণি, সরিসৃপদের গণনা করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE