মদনতোড় পঞ্চায়েতের একটি গ্রাম সংসদের উপ-নির্বাচনে ৫৯৪ ভোটে জিতল তৃণমূল। তাদের প্রার্থী প্রতিমা বাউরি যেখানে ৬৭২ ভোট পেয়েছেন সেখানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের রিঙ্কি বাউরি পেয়েছেন মাত্র ৭৮টি ভোট। বিজেপির শিউলি লায়েক পেয়েছেন ৫৭ ভোট। দুই নির্দল প্রার্থী পেয়েছেন ১১ ও ৮টি ভোট।
মদনতোড় পঞ্চায়েতে ২২টি আসনের মধ্যে ১৫টি তৃণমূল ও ৭টি সিপিএমের দখলে ছিল। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান অপর্ণা মণ্ডল অসুস্থতার কারণে ইস্তফা দিলে ওই পঞ্চায়েতের ধান্ডাডিহি সংসদ খালি হয়ে যায়। ৩ অক্টোবর ওই সংসদের উপ-নির্বাচন হয়। এর আগে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল এই সংসদে ৩৫২ ভোটে জিতেছিল। সিপিএম সে বার পেয়েছিল ১৪৭টি ভোট। এ দিন স্থানীয় সিপিএম নেতা মলয় বসুরায়ের অভিযোগ, “ভোট লুঠ করেছে তৃণমূল। সেই কাজ সংগঠিত ভাবে করার জন্য দু’জন নির্দল প্রার্থীকে তৃণমূলই দাঁড় করিয়েছিল। কারণ, ওদের পোলিং এজেন্ট হিসেবে তৃণমূল কর্মীরাই বসেছিল ভিতরে। যত বার আমাদের এজেন্টরা ভুয়ো ভোটার আটকানোর চেষ্টা করেছে, তত বারই ওই দুই নির্দল প্রার্থীর এজেন্টরা তৃণমূলের এজেন্টদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তাঁদের আসল ভোটার বলে দাবি করে ভোট দিতে সাহায্য করেছে।” তৃণমূলের অন্ডাল ব্লক সভাপতি তথা অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কাঞ্চন মিত্রের পাল্টা বক্তব্য, “সিপিএম এই এলাকার কাউকে প্রার্থী করতে পারেনি। অন্য এলাকা থেকে এনে এখানে দাঁড় করিয়েছে। এতেই প্রমাণ হয়, ওদের জনসমর্থন কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।’’ তিনি জানান, এ দিনের জয়ী প্রার্থীই প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
রানিগঞ্জ লাগোয়া বাঁকুড়ার মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর সংসদের উপ-নির্বাচনে তৃণমূল ১৪৩৭ ভোটে সিপিএমকে হারিয়েছে। ওই সংসদে সমিতির সহ-সভাপতি নয়নরঞ্জন সরকারের মৃত্যু হওয়ায় উপ-নির্বাচন হয়। তৃণমূল প্রার্থী বলরাম সরকার ২৫০৪ ও সিপিএম প্রার্থী শৈলেন বাদ্যকর ১০৬৭টি ভোট পেয়েছেন। বিজেপি পেয়েছে ৪৩৯ ভোট। তৃণমূলের মেজিয়া ব্লক সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ওই আসনে আমরা গত বার ৭৫ ভোটে জিতেছিলাম। আমাদের প্রতি মানুষের আস্থা কতটা, তা আবার প্রমাণ হল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy