Advertisement
০৮ মে ২০২৪

টেন্ডার না ডেকেই টোল আদায়ের দায়িত্ব, বিতর্ক

টেন্ডার ডেকে গত বছর নতুন সংস্থাকে দরপত্র দিয়ে প্রায় দ্বিগুন রোজগার করেছিল জেলা পরিষদ। কিন্তু এ বার আর টেন্ডার না ডেকে সেই সংস্থাকেই সামান্য দর বাড়িয়ে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে চাইছে তারা। আসানসোল থেকে রূপনারায়ণপুর ডাকবাংলো পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় টোল আদায়ে কেন টেন্ডার ডাকা হচ্ছে না, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টেন্ডার ডাকার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় কয়েক জন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১০
Share: Save:

টেন্ডার ডেকে গত বছর নতুন সংস্থাকে দরপত্র দিয়ে প্রায় দ্বিগুন রোজগার করেছিল জেলা পরিষদ। কিন্তু এ বার আর টেন্ডার না ডেকে সেই সংস্থাকেই সামান্য দর বাড়িয়ে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে চাইছে তারা। আসানসোল থেকে রূপনারায়ণপুর ডাকবাংলো পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় টোল আদায়ে কেন টেন্ডার ডাকা হচ্ছে না, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টেন্ডার ডাকার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় কয়েক জন।

জেলা সভাধিপতি দেবু টুডুর দাবি, “অশান্তির ভয়েই আমরা নতুন করে টেন্ডার ডাকতে চাইছি না। গত বার ওই টেন্ডার নিয়ে এলাকায় গোলমাল হয়েছিল, গুলি চলেছিল। এ বার যাতে না হয়, সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।”

১১ নভেম্বর জেলা পরিষদে চিঠি জমা দিয়ে স্থানীয় সুজিত চট্টোপাধ্যায়, গোপাল মণ্ডলেরা দাবি করেন, দরপত্র জমা দেওয়া প্রত্যেকের অধিকার। তা ছাড়া প্রকাশ্য নিলাম বা টেন্ডার ডাকা হলে সমস্ত আগ্রহী প্রার্থীরা যোগ দিতে পারবেন। জেলা পরিষদের আয়ও আগের তুলনায় বাড়বে। তাঁরা বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি পুরনো লিজ গ্রহীতাকেই সামান্য টাকা বাড়িয়ে টোল আদায়ের অধিকার দিয়ে দিতে চাইছে জেলা পরিষদ। তার প্রতিবাদ করে নতুন করে টেন্ডার ডাকার দাবি জানিয়েছি আমরা।”জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, ২০১২-১৩ সালে রূপনারায়ণপুর গেস্ট হাউসের কাছে ওই এক কিলেমিটার রাস্তার টোল বাবদ প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল জেলা পরিষদের তহবিলে। পরের বছর যে সংস্থা টেন্ডার দেয়, তারা সাড়ে ২২ লক্ষ টাকা আদায় করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০১৪-১৫ সালে ওই রাস্তার নতুন করে টেন্ডার ডেকে নিজেদের আয় বাড়াতে চাইছে না জেলা পরিষদ। এক আধিকারিকের কথায়, “পুরনো লিজ গ্রহীতা ইতিমধ্যে আমাদের কাছে নতুন করে ওই অধিকার পাওয়ার ব্যাপারে আবেদন করেছেন। আইনত কোনও সমস্যা নেই। তবে ওদের দেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়াতে হবে। সেই অঙ্ক পরে ঠিক করা হবে।”

কিন্তু টেন্ডার না ডেকেই পুরনো সংস্থাকে টোল আদায়ের অধিকার দেওয়া হবে কেন? জেলা পরিষদের ওই আধিকারিকের দাবি, “ওই সংস্থা জানিয়েছে, মোটা অঙ্কের টোল কর দিয়েও তাদের লাভ হয়নি। তার উপর ওই এলাকায় বেশ কিছু স্থায়ী নির্মাণ করেছেন তাঁরা। সে সব ছেড়ে চলে যেতে হলে সমস্যায় পড়বেন। তাই আরও অন্তত এক বছরের জন্য ওই রাস্তার টোল আদায়ের অধিকার পেতে চাইছেন তাঁরা। ওঁদের দাবি ন্যায্য বলেই মনে করছি আমরা।”

জেলা সভাধিপতি দেবু টুডুও বলেন, “গত বার ওই এলাকার রাস্তার টেন্ডার ডাকা নিয়ে তুমুল অশান্তি হয়েছিল। এ বারও সে রকম ঘটতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা। তাই অশান্তি এড়িয়ে টোল আদায় করাতে চাইছি।” তিনি আরও বলেন, “ওই সংস্থা টোল আদায় করার আবেদন করেছে ঠিকই, কিন্তু কত টাকা বাড়তি দিতে পারবেন তা এখনও জানাননি। আমরা ওদের একটা নির্দিষ্ট টাকা বলে দেব। যদি সেটা না দিতে পারে, তাহলে ওই টোল প্লাজা চালাতে দেওয়া হবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tender toll charge bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE