তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অশান্তি হল মন্তেশ্বর ব্লকের কুসুমগ্রামের ডাকবাংলো এলাকায়। বুধবার রাতের এই ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর তিন জন করে মোট ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা দখল নিয়ে কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কিতাবুল শেখ ও মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য রশিদ শেখের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বোর্ডের দখল কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে সেটা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উপপ্রধান কিতাবুল শেখ কয়েক মাস ধরে পঞ্চায়েতে ঢুকতে পারছেন না বলে অভিযোগ।
তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে একটি বৈঠক চলাকালীন পঞ্চায়েত অফিসে দলবল নিয়ে ঢোকেন কিতাবুল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রশিদ শেখ ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী। এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়েছিল। সেই সময়ে উচ্চ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটলেও ভিতরে ভিতরে অশান্তি বজায় ছিল।
কিতাবুল শেখের অভিযোগ, বুধবার রাতে রশিদ শেখের অনুগামীরা তাঁদের উপর লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তিনি বলেন, “ওদের হামলায় ইব্রাহিম খান, কাশেম খান ও কিষান শেখ নামে তিন জন আহত হয়।” অভিযোগ অস্বীকার করে রশিদ শেখের পাল্টা দাবি, উপপ্রধানের গোষ্ঠীর লোকেরাই প্রথমে হামলা চালায়। তাঁরা বিষয়টি প্রতিরোধ করার পরেই সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই সংঘর্ষে সাইদুল শেখ, রমজান শেখ ও মাকেন খাঁ নামে তাঁর তিন অনুগামী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রশিদ শেখ।
গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সজল পাঁজা বলেন, “দু’পক্ষকে নিয়েই বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে এলাকায় একটি শান্তি মিছিল করা হবে। সেই মিছিলে দু’পক্ষের লোকরাই হাঁটবে। ওই মিছিল থেকে লোকসভা ভোটের প্রচারও করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy