Advertisement
E-Paper

ধর্ষণের ঘটনায় আরও এক সাক্ষী বিরূপ ঘোষিত

নবাবহাটের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আরও একজন সাক্ষীকে বিরূপ ঘোষণা করল দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত। এ নিয়ে আট সাক্ষীর মধ্যে তিনজনকেই বিরূপ বলে ঘোষণা করা হল। ওই ছাত্রীর পরিবারের একাংশের দাবি, বাড়িতে আগুন লাগানোর ভয় পেয়ে অনেকেই আগের জবাবনবন্দি থেকে সরে আসছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৩৪

নবাবহাটের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আরও একজন সাক্ষীকে বিরূপ ঘোষণা করল দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত। এ নিয়ে আট সাক্ষীর মধ্যে তিনজনকেই বিরূপ বলে ঘোষণা করা হল। ওই ছাত্রীর পরিবারের একাংশের দাবি, বাড়িতে আগুন লাগানোর ভয় পেয়ে অনেকেই আগের জবাবনবন্দি থেকে সরে আসছেন।

মঙ্গলবার মামলা শুরু হতেই সরকারি আইনজীবীরা শেখ জাহাঙ্গির নামে এক সাক্ষীকে বিরূপ বলে ঘোষণা করার আবেদন জানান। তাঁদের দাবি, নবাবহাটের বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী শেখ জাহাঙ্গির ঘটনার তদন্তের সময় সিআইডির কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন যে, ওই ছাত্রী টিউশন থেকে ফেরার সময় তাঁদের পাড়ার শেখ বাদশা, মিলন ও আজিম নামে তিনজন বাদশার মোটরবাইকে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে সেচখালের কাছে নবাবহাটের একটি নির্মিয়মান নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে রাখে। ওই তিনজন ছাড়াও তাদের সঙ্গী বুশ ওরফে হাকিম আমনসারি, শেখ সাবির, শেখ ইয়াসিন ওরফে তুফান, শেখ সৈফুদ্দিন ওরফে পিন্টু, শেখ আসগর ওরফে দিলীপ এবং ধামসোর এলাকার আবুল শেখ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করে বলেও তিনি জানান। পরে ঘটনাটি নিয়ে হৈচৈ শুরু হতেই গভীর রাতে ওই ছাত্রীর দেহ ক্যানেলের ধারে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হতেই শেখ জাহাঙ্গীর আাদলতকে বলেন, “পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। আমি বাড়িতে ছিলাম না। পুলিশ আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে। আমি পুলিশকে কোনও জবানবন্দি নিইনি।” তবে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো বাদশাকে তিনি চেনেন বলে দাবি করেন। এরপরেই সরকারি আইনজীবী মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাক্ষীকে বিরূপ ঘোষণা করা হোক।” বিচারক তাঁর আবেদন গ্রহণ করেন।

তবে অভিযুক্তদের আইনজীবি বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, “পুলিশ ও সিআইডি যে ঘটনার কী ধরনের তদন্ত করেছে, পরপর তিন সাক্ষীর বিরূপ বলে ঘোষিত হওয়া থেকেই তা স্পষ্ট। উচিত ছিল, এত বড় ঘটনার আরও প্রকৃত তথ্য তদন্তে বের করে আনা।”

এ দিকে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকদের নিগ্রহের ঘটনার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হল না এ দিন। আইনজীবীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, সিজার লিস্ট অনুসারে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পুলিশ মঙ্গলবার জমা দিতে পারেনি। তাই সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতুবি রাখা হয়েছে। সরকারি আইনজীবি অজয় দে বলেন, “আগেই উদ্ধার হওয়া সামগ্রী আদালতে জমা দিতে লিখিত ভাবে পুলিশকে বলা হয়েছিল। সেই মর্মে আমি বর্ধমান থানাকেও চিঠি লিখি। কিন্তু মঙ্গলবার পুলিশ তা জমা না দেওয়ায় শুনানি হয়নি।”

বুধবার ফের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

rape nababhat burdwan witness
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy