মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে রাজ্যের ‘এগিয়ে থাকা’ জেলাগুলির অন্যতম বর্ধমান। প্রায় দু’দশক আগে এই জেলাই কেরলের এর্নাকুলামের পরে দেশের দ্বিতীয় স্বাক্ষর জেলার মর্যাদা লাভ করেছিল। কিন্তু এ বার মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় প্রথম দশ জনের মধ্যে ছ’জন এই জেলার হলেও পাশের হারে অনেকের থেকে পিছিয়ে বর্ধমান।
বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের ফল বেরোতে দেখা গিয়েছে, পাশের হার বাড়লেও রাজ্যের অনেক জেলার তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে বর্ধমান। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে পাশের হারের কথা জানানো হয়েছে, তাতে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। সেখানে এ বার উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী। কলকাতায় এই হার প্রায় ৯১, উত্তর ২৪ পরগনায় ৯০, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮৯, হাওড়ায় সাড়ে ৮৬, হুগলিতে ৮৬। সেখানে এ বার বর্ধমানের পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৮০। গত বার এই হার ছিল প্রায় সাড়ে ৭৯। অন্য জেলাগুলিতে যখন পাশের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে, বর্ধমান কেন সে ভাবে এগোতে পারল না, সে ব্যাপারে কোনও ব্যাখ্যা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের স্থানীয় কর্তাদের থেকে মেলেনি। তবে পর্ষদের মিনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক স্বপন ঘোষাল বলেন, “গত বার মাধ্যমিকে কালনা থেকে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল। এ বার কাটোয়া থেকে দ্বিতীয় হয়েছে। তাই বর্ধমান তেমন এগোতে পারছে না, এটা ঠিক নয়। এ বার তো পাশের হার আগের তুলনায় বেড়েছে।’’
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক কেন্দ্র সূত্রে বলা হয়েছে, এ বার জেলায় মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল ৮৫,৩৫৯ জনের। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় শেষ পর্যন্ত বসেছিল ৮৩,৬৮০ জন। তাদের মধ্যে নিয়মিত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৭৫,৬৫৩। তাদের মধ্যে পাশ করেছে ৬০,৫১৩ জন। বাকি ৮০০৫ জনের মধ্যে ৪২০৫ জন পাশ করেছে। কেন প্রায় দু’হাজারের মতো পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে পরীক্ষায় বসেনি, তা-ও বলতে পারেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক কেন্দ্র। বলা হয়েছে, গত বারের তুলনায় নিয়মিত ছাত্রদের পাশের হার বেড়েছে শতকরা ১.১১ ভাগ। নিয়মিত ছাত্রীদের ক্ষেত্রে তা ০.৮৩ ভাগ। সিসি ছাত্র ও ছাত্রীদের পাশের হার এ বার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে যথাক্রমে ৪.৭৬ ও ১.৫৩ ভাগ।
এ বার জেলা থেকে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে কাটোয়ার অনিরুদ্ধ সরকার। সে সম্ভাব্য দ্বিতীয়। এ ছাড়া বর্ধমান শহরের দ্বৈপায়ন দুবে সম্ভাব্য পঞ্চম, কাটোয়ার সায়ন্তী মণ্ডল ও রানিগঞ্জের কুন্দন মাঝি ষষ্ঠ, কাটোয়ার পারিজাত দত্ত সপ্তম, গলসির পীযূষকান্তি নাগ নবম ও ভাতারের ঋত্বিক পাল দশম স্থানে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy