Advertisement
০২ মে ২০২৪

রাস্তার পাশে ধস নামল কালিপাহাড়িতে

রাস্তার পাশে বেশ খানিকটা এলাকা জুড়ে ধস নামল আসানসোলের কালিপাহাড়ি এলাকায়। সোমবার সকালে মাটি বসে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ইসিএলের আধিকারিকেরা। ধস এলাকা ভরাটের ব্যবস্থা করা হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার কালিপাহাড়ি থেকে তিরাট গ্রামে যাওয়ার মূল রাস্তা থেকে কয়েক মিটার দূরেই একটি ফাঁকা মাঠে বেশ খানিকটা জমিতে ধস নেমেছে।

কালিপাহাড়ি থেকে তিরাট যাওয়ার রাস্তার পাশে বসে গিয়েছে জমি। ছবি: শৈলেন সরকার।

কালিপাহাড়ি থেকে তিরাট যাওয়ার রাস্তার পাশে বসে গিয়েছে জমি। ছবি: শৈলেন সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০৬
Share: Save:

রাস্তার পাশে বেশ খানিকটা এলাকা জুড়ে ধস নামল আসানসোলের কালিপাহাড়ি এলাকায়। সোমবার সকালে মাটি বসে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ইসিএলের আধিকারিকেরা। ধস এলাকা ভরাটের ব্যবস্থা করা হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।

আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার কালিপাহাড়ি থেকে তিরাট গ্রামে যাওয়ার মূল রাস্তা থেকে কয়েক মিটার দূরেই একটি ফাঁকা মাঠে বেশ খানিকটা জমিতে ধস নেমেছে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকালে তাঁরা হঠাৎ দেখতে পান, মাঠের পাশে একটি পুকুরের জল সোঁ-সোঁ আওয়াজ করে জমিতে ঢুকে যাচ্ছে। এর পরেই আচমকা বিস্তীর্ণ জমির মাটি বসে যায়। এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫০ মিটার এলাকা জুড়ে বড় আকারের ফাটল ও গর্ত তৈরি হয়েছে। তার গভীরতা প্রায় ১৫ মিটার। ঠিক যেখানে এই ধস নেমেছে, সেখান থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে রয়েছে কালিপাহাড়ি থেকে তিরাটের বাস যাওয়ার রাস্তা। এক দিকে আছে ইসিএলের কার্যালয় ও আবাসন এলাকা। অন্য দিকে কালিপাহাড়ি-সহ কয়েকটি ছোট গ্রাম। এই ধসের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের বাসিন্দারা সেখানে ছুটে যান। তাঁদের অভিযোগ, মাঝে-মাঝেই এখানে ধস নামছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনিক কর্তারা বিলক্ষণ জানেন এ সব। তবু স্থায়ী সমাধানের কোনও চেষ্টা হচ্ছে না।

খবর পেয়ে খানিক ক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয় খনির আধিকারিকেরা। খনির এজেন্ট মন্টু চট্টোপাধ্যায় জানান, এখানে কালিপাহাড়ি ও রতিবাটি কোলিয়ারির ভূগর্ভস্থ খনি থেকে কয়লা তোলা হয়েছে। খনি বেসরকারি হাতে থাকাকালীন অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা তোলার পরে মাটির তলার ফাঁকা অংশ ঠিক মতো ভরাট না করায় এখন গোটা অঞ্চল ধসের কবলে চলে যাচ্ছে বলে দাবি তাঁর। তাঁর আশ্বাস, এই জায়গা ভরাট করার ব্যবস্থা হচ্ছে।

সোমবার সকালে কালিপাহাড়ির যে জায়গায় ধস নেমেছে, সেই এলাকাকে ২০০৩ সালেই ধসপ্রবণ বলে চিহ্নিত করেছে ইসিএল। এই সময় রানিগঞ্জ-আসানসোল কয়লা খনি এলাকার ১৪১টি এলাকাকে ধসপ্রবণ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তরফে। এই এলাকার আশপাশের বাসিন্দাদের অনেক আগেই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে ইসিএল এবং মহকুমা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছে কয়লা মন্ত্রক। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুলটি, সালানপুর ও রানিগঞ্জে ভোটের প্রচারে এসে এই খনি অঞ্চলের ধস সমস্যার সমাধানে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

asansoal kalipahari avalanche
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE