Advertisement
E-Paper

শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি পেঁয়াজ চাষে

ভরা বসন্তে আচমকা শিলাবৃষ্টিতে মহকুমার বেশ কিছু এলাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার তিনটি ব্লকের দশটি পঞ্চায়েত এলাকায় চাষে ক্ষতি হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে সব্জি ও পেঁয়াজ চাষে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৬
বাঁ দিকে, ভেঙেছে পেঁয়াজ গাছ। ডান দিকে, ঝরে গিয়েছে সর্ষে। —নিজস্ব চিত্র।

বাঁ দিকে, ভেঙেছে পেঁয়াজ গাছ। ডান দিকে, ঝরে গিয়েছে সর্ষে। —নিজস্ব চিত্র।

ভরা বসন্তে আচমকা শিলাবৃষ্টিতে মহকুমার বেশ কিছু এলাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার তিনটি ব্লকের দশটি পঞ্চায়েত এলাকায় চাষে ক্ষতি হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে সব্জি ও পেঁয়াজ চাষে।

চাষিদের দাবি, এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফসলে রোগপোকার আক্রমণ কম ছিল। ফলে কমবেশি সমস্ত শীতকালীন সব্জিরই ভাল ফলন হয়েছে। আলু, পেঁয়াজ, সর্ষের মতো ফসল জমি থেকে তোলারও সময় হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতের শিলাবৃষ্টিতে বেশ ক্ষতি হয়েছে ফসলের। সোমবার কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা পূর্বস্থলী ১, ২ ও মন্তেশ্বর ব্লকের প্রায় ১০টি পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমাণ ঘুরেও দেখেন। আধিকারিকদের দাবি, পূর্বস্থলী ১ ব্লকে ৯৫ হেক্টর জমির আলু, ১২৭০ হেক্টর জমিতে সর্ষে এবং ৪৪০ হেক্টর জমিতে মুসুরি চাষে ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টির আঘাতে সব্জি খেতেও ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। এ ছাড়া মন্তেশ্বর ব্লকের বামুনপাড়া, মামুদপুর ১, মামুদপুর ২ এবং পুরশুড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় চাষের ক্ষতি হয়েছে। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মুকসিমপাড়া, কালেখাঁতলা ১, কালেখাঁতলা ২ এবং পূর্বস্থলী ১ ব্লকেও ক্ষতির পরিমাণ ভালই। দোগাছিয়া, জাহান্নগর এবং বগপুর পঞ্চায়েত এলাকাও ক্ষতিগ্রস্থ। সোমবার সকাল থেকে বিডিও, ব্লক কৃষি আধিকারিকেরা এই এলাকাগুলি ঘুরে দেখে ক্ষতির পরিমাণ ঠিক করেন। বিকেলে ব্লকগুলির তরফে রিপোর্টও পেশ করা হয়।

দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূল নেতা প্রণব রায়চৌধুরী জানান, আচমকা শিলাবৃষ্টিতে বহু জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের কাছে চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন করা হবে বলেও তাঁর দাবি। মন্তেশ্বরের চার পঞ্চায়েতে ৫০ হেক্টর জমিতে সর্ষে চাষ হয়েছিল। চাষিদের দাবি, শিলাবৃষ্টিতে সমস্ত সর্ষে ঝরে গিয়েছে। সমস্ত সব্জি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেও তাঁদের দাবি। মন্তেশ্বর ব্লক কৃষি আধিকারিক রঙ্গন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “কিছু কিছু আলুর জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আলুর কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না তা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে জানা যাবে। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের তিন পঞ্চায়েত এলাকাতেও ৪২ হেক্টর বোরো ধান, ৬০ হেক্টর মুসুরি এবং ৫ হেক্টর আলু চাষের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, হালদিপাড়া, ঘুনি, সাতপোতা, কুকসিমলা, স্বরডাঙা, ছোটকাইবাতি, বড়কাইবাতি, বৈদ্যপুর, শ্যামবাটী-সহ বেশ কিছু গ্রামেও ক্ষতির বহর ভালই। সব্জির সঙ্গে পেঁয়াজ চাষিরাও যাতে ক্ষতিপূরণ পান তার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। জেলা উদ্যান পালন বিভাগের এক আধিকারিক জানান, মন্তেশ্বরের মতো কয়েকটি ব্লকে এ বার সুখসাগর প্রজাতির পেঁয়াজ চাষের এলাকা বেড়ে ছিল। আচমকা শিলাবৃষ্টিতে জমিতেই পেঁয়াজ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কালনার মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ জানান, তিনটি ব্লকের আধিকারিকদের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।

kalna onion
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy