Advertisement
২০ মে ২০২৪

সেতু মেরামতির কাজে ত্রুটি, নালিশ বাসিন্দাদের

দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রোডে ডিভিসি-র বর্ধমান সেচখালের উপরে নড়বড়ে সেতু মেরামতি প্রায় শেষ। দ্রুত সেতু চালু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দুর্গাপুরের দিক থেকে সেতুতে ওঠার মুখ ঢালু হয়ে গিয়েছে। ফলে, সেতুর ওই অংশে ভারী গাড়ির অতিরিক্ত চাপ পড়বে। ক্ষতি হবে সেতুর।

দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাস্তায় এই সেতুর কাজ নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাস্তায় এই সেতুর কাজ নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২৭
Share: Save:

দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রোডে ডিভিসি-র বর্ধমান সেচখালের উপরে নড়বড়ে সেতু মেরামতি প্রায় শেষ। দ্রুত সেতু চালু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দুর্গাপুরের দিক থেকে সেতুতে ওঠার মুখ ঢালু হয়ে গিয়েছে। ফলে, সেতুর ওই অংশে ভারী গাড়ির অতিরিক্ত চাপ পড়বে। ক্ষতি হবে সেতুর।

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের একাংশের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম বড় ভরসা দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাস্তায় রয়েছে এই সেতুটি। পঞ্চাশের দশকে সেচ দফতরের গড়ে তোলা ওই সেতু বেহাল হয়ে পড়েছিল। ক্ষয়ে গিয়েছিল কংক্রিটের মেঝে। দু’পাশের রেলিং ভেঙে যায়। সেতুর দু’দিকের সংযোগকারী রাস্তা বসে গিয়েছিল। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে দৈনিক যাতায়াত করত শত-শত যানবাহন। সেচ দফতরের দামোদর হেড ওয়ার্কস ডিভিশনের পক্ষ থেকে সেতু দিয়ে দশ টনের বেশি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ বলে বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল কয়েক বছর আগে। কিন্তু তা মানা হত না বলে অভিযোগ। ওই সেতুর পাশে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সেতু গড়ার কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। কিন্তু, কাজ শেষ হতে সময় লাগবে। তাই ৬ ডিসেম্বর থেকে পুরনো সেতুটির মেরামতি শুরু করে সেচ দফতর। যানবাহন যাতায়াতের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেরামতি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সেতু খুলে দেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্গাপুরের দিক থেকে সেতুতে ওঠার মুখের অংশ ঢালু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সেখানে জল জমছে। তা ছাড়া ওই অংশ রাস্তার তুলনায় সামান্য নিচু হওয়ায় ভারী গাড়ি যখন উঠবে তখন সেতুতে অতিরিক্ত চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ক্ষতি হবে সেতুর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকে এ কথা জানানোর পরেও ঠিক মতো কাজ করা হয়নি।

দুর্গাপুর পুরসভার স্থানীয় বরো কমিটির চেয়ারপার্সন শেফালি চট্টোপাধ্যায় জানান, সেচমন্ত্রীর কাছে একাধিক বার দরবার করে সেতু সংস্কারের পরিকল্পনা পাশ হয়েছিল। কিন্তু কাজ ঠিক মতো না হলে সরকারি অর্থের অপচয় হবে। তিনি বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা কাজে ত্রুটির অভিযোগ করেছেন। সেতু চালু হওয়ার আগেই যাতে তা শুধরে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bridge repair and maintanance durgapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE