Advertisement
০২ মে ২০২৪

হাঁটতে বেরিয়ে গুলি খেলেন কেতুগ্রামের তৃণমূল সভাপতি

সকালে হাঁটতে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন কেতুগ্রাম ১-এর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি জাহের শেখ। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে খুন করার জন্যই মোটরবাইকে এসে গুলি চালায় কিছু দুষ্কৃতী।

হাসপাতালে জাহের। —নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে জাহের। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া ও বোলপুর শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৫৬
Share: Save:

সকালে হাঁটতে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন কেতুগ্রাম ১-এর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি জাহের শেখ। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে খুন করার জন্যই মোটরবাইকে এসে গুলি চালায় কিছু দুষ্কৃতী। কিছু গুলি কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেলেও একটি পায়ে লাগে। প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল, সেখান থেকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁকে। পরে পুলিশের কাছে চার জনের নামে খুনের অভিযোগও হয়।

বিরোধীরা ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া দেখলেও তৃণমূল তা মানতে চায়নি। কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের দাবি, ‘‘সভাপতিকে যারা খুন করার চেষ্টা করেছে, তাদের পিছনে নিশ্চিত ভাবে বড় মাথা রয়েছে।’’ যদিও বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’ নানুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা ও কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের ভাই কাজল শেখও বলেন,‘‘আক্রান্ত আমাদের দলের লোক, একনিষ্ঠ কর্মী। তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে আক্রমণ করেছে। এর মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’ যদিও পুলিশ জানিয়েছে, পুরনো কোনও ঘটনার আক্রোশ থেকেই এই হামলার ঘটনা।

পরে জাহের শেখ জানিয়েছেন, এ দিন কেতুগ্রামের রতনপুর-পীরতলার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন শ্যামল সরকার বলে কাঁটাডিহি গ্রামের এক ব্যক্তি। পথে খাসপুর ও রতনপুরের মাঝামাঝি উল্টো দিক থেকে একটি মোটরবাইক আসে। তাতে আজিজ শেখ, বদর শেখ ও সুকুর শেখ নামে তিন দুষ্কৃতী ছিলেন। রাস্তা আটকে আড়াআড়ি ভাবে দাঁড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি চালাতে শুরু করেন। জাহেরের কথায়, ‘‘কয়েকটি গুলি কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। একটি পায়ে লাগে। আমি পড়ে যাই। আমার সঙ্গে থাকা শ্যামল সরকার এক জনকে ধরেও ফেলেছিল। কিন্তু সে ছিটকে চলে যায়।’’ তবে পরে মোটরবাইক রেখে পালাচ্ছিল এমন এক জনকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে ফেলেন বলে জানা গিয়েছে। জাহেরের দাবি, ‘‘আমাকে মারার জন্য গ্রামের লোকেরা যুক্ত থাকবে তা বুঝতে পারিনি।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১২ সালে হাঁসপুর গ্রামের এক জন খুন হয় নানুরের চারকোল গ্রামে। সেই শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধৃত চার জন আমাদের কাছে কয়েক জনের নাম বলেছে। আমরা সেগুলি খতিয়ে দেখছি।’’ বোলপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে। জাহের শেখের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE