Advertisement
E-Paper

১৪ বছর পরে বেতন শিক্ষকদের

রায়নার হরিপুর জুনিয়র হাইস্কুলের ছ’জন শিক্ষক এবং এক শিক্ষাকর্মীর বকেয়া বেতন মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা ১৪ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। ১৯৯৯ সালের ১ মে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ওই স্কুলকে ‘নিউ সেট আপ’ স্কুল হিসেবে চিহ্নিত করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৪ ০১:০৩

রায়নার হরিপুর জুনিয়র হাইস্কুলের ছ’জন শিক্ষক এবং এক শিক্ষাকর্মীর বকেয়া বেতন মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা ১৪ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না।

১৯৯৯ সালের ১ মে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ওই স্কুলকে ‘নিউ সেট আপ’ স্কুল হিসেবে চিহ্নিত করে। অর্থাৎ ওই সময় থেকে ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগ হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। সেই কারণে ওই স্কুলের ছ’জন সংগঠক শিক্ষক ও দু’জন শিক্ষাকর্মীর বেতন দিতে অস্বীকার করে বর্ধমান জেলা স্কুল পরিদর্শক। পর্ষদ ওই স্কুলকে অনুমোদন না দেওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কলকাতা হাইকোর্টে ২০০১ সালে মামলা দায়ের করেন। ওই স্কুলের আইনজীবী এক্রামূল বারি আদালতে জানান, ওই স্কুলটি ১৯৮১ সাল থেকেই সংগঠিত স্কুল হিসেবে চিহ্নিত। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ লালা ২০০৩ সালের অগস্ট মাসে রায় দেন, স্কুলটিকে সংগঠিত স্কুল হিসেবে গণ্য করতে এবং শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অনুমোদন দিতে। রাজ্য সরকার ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আপিল খারিজ করে দেয়।

আইনজীবী জানান, নির্দেশ না মানায় আদালত অবমাননার মামলা হয়। বর্ধমানের এক স্কুল পরিদর্শকের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী। ওই স্কুল পরিদর্শক ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন।

ডিভিশন বেঞ্চ ২৭ জুন ওই পরিদর্শককে নির্দেশ দেন, সরকারি নথি দেখে ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন মেটানোর সিদ্ধান্ত নিতে। যত দিন না বেতন মেটানো হচ্ছে, তত দিন ওই স্কুল পরিদর্শকের বেতনও বন্ধের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। ৭ জুলাই স্কুল পরিদর্শক ডিভিশন বেঞ্চে জানান, ওই শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন ও বকেয়া মেটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ব্যাপারে সরকারি নির্দেশও জারি হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন মেটাতে হবে। তবেই স্কুল পরিদর্শক তাঁর বেতন পাবেন।

অনলাইনে ভর্তির আশ্বাস

নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান

পরের শিক্ষাবর্ষ থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলিতে অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার দুপুরে গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে এসে তিনি বলেন, “যে সমস্ত কলেজে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই, সেখানে অনলাইনে ভর্তি করতে বারণ করেছিলাম। সামনের বছর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজেই যেন অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। আমরা গোটা রাজ্যেই অনলাইনে ভর্তি করার চেষ্টা করছি।” পরে বর্ধমান রাজ কলেজে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কয়েক জন অধ্যক্ষ অভিযোগ করছেন ভর্তির জন্য চাপ আসছে। কোথাও নতি স্বীকার করবেন না। সমস্যা হলে লিখে পাঠান।” ছাত্র সংসদের অনুষ্ঠানে বহিরাগত শিল্পী আনারও বিরোধিতা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

6 teachers salary
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy