প্রয়োজন ছিল দু’টি পাইপলাইন সরানোর। গত আট বছরেও তা না হওয়ায় আটকে রয়েছে বরাহনগর-ব্যারাকপুর মেট্রো প্রকল্পের কাজ। ২০৬৯ কোটি টাকা মঞ্জুর হওয়ার পরেও কেন সামান্য কাজটি এত দিনেও করা গেল না, তা জানতে চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান।
বি টি রোড ধরে বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো রেল প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত হয় ২০১০ সালে। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করে ২০৬৯ কোটি টাকা। ওই রাস্তায় দু’টি পুরনো পাইপলাইন সরিয়ে ৬৪ ইঞ্চির দু’টি নতুন পাইপ বসানোর জন্য কলকাতা পুরসভা এবং রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)-এর মধ্যে একটি চুক্তি হয়। কিন্তু এখনও পুরনো পাইপলাইন সরিয়ে নতুন পাইপ বসানো হয়নি।
রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, এই মেট্রো প্রকল্প তৈরি হলে কলকাতা এবং শহরতলির অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন। রেল বোর্ডও এই প্রকল্পে বিশেষ নজর দিচ্ছে। রেলের এক কর্তার কথায়, ‘‘গত বছরের ৩ নভেম্বর রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান কলকাতায় এসে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে পরিবহণসচিব, কলকাতা পুরসভার কমিশনার এবং আরভিএনএল-এর কর্তারাও ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বি টি রোড ধরে বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো রেলের নকশা ঠিক রয়েছে কি না, তা আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ নিযুক্ত করে যাচাই করা হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন বকেয়া রেল প্রকল্প নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর মেট্রো প্রকল্প নিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। রেলের এক কর্তা জানান, ওই বৈঠকের পরেই নড়েচড়ে বসেন রেল বোর্ডের কর্তারা। গত নভেম্বরে কলকাতায় আসেন চেয়ারম্যান। ফের মার্চের গোড়ায় এসে প্রকল্পের এলাকা পরিদর্শন করেন। তার পরে দিল্লি ফিরেই মুখ্যসচিবকে ৮ মার্চ চিঠি দেন।
কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘বি টি রোডের তলা দিয়ে টালা-পলতা জলপ্রকল্পের ছ’টি পাইপলাইন গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু রেল প্রকল্প কেন থমকে রয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’’ রাজ্যের পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, বি টি রোডের তলায় জলের যে পাইপলাইন রয়েছে, তার সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি। আবার মেট্রো প্রকল্পের কাজও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কী ভাবে সমস্যার সমাধান হবে, তার জন্য রেল বোর্ড, রাজ্য সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy