Advertisement
E-Paper

সোমবারই হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট, তবে ঝুলে রইলেন ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী’রা

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের জেরে, নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা কার্যত দূর হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ১৮:৪৪
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের জেরে, নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা কার্যত দূর হল। অন্য দিকে শীর্ষ আদালতও ই-মনোনয়ন নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করায়, ১৪ তারিখ ভোট করাতে কোনও বাধা আর রইল না। আইনি বাধা কাটার পরপরই, সোমবারই নির্বাচন- এই মর্মে জেলা প্রশাসনগুলিকে বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছে কমিশন।

তবে, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় জয়, দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে শীর্ষ আদালতেরও। তাই শীর্ষ আদালত ওই বিজয়ীদের জয়ের শংসাপত্র দেবার উপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এটাই এই মুহুর্তে বিরোধীদের এক মাত্র পাওনা।

এ দিন, প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে জানান, রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আদালতের আস্থা আছে। বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, “আদালত আশা রাখে যে নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হবে।” আদালত স্পষ্ট করে দেয় যে ১৪ মে নির্বাচন হলে আদালতের কোনও আপত্তি নেই। তবে কবে নির্বাচন হবে এবং গোটা প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন কি না, সেই সিদ্ধান্তও নেবে কমিশন। অর্থাৎ কমিশনের উপরই চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক করার দায়িত্ব দেয় আদালত।

আরও পড়ুন:

কবি তো জানি রবীন্দ্রনাথ-নজরুল, এ আবার নতুন কোন কবি: কেষ্ট

পুলিশ পাঠাবে সিকিম, বাকিদের নিয়ে ধোঁয়াশা

নির্বাচনের দিন নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ না করলেও, আদালত জানায়, নির্বাচন ঘিরে অশান্তি হলে, প্রাণহানি হলে বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রাজ্যের যে আধিকারিক আদালতকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন, সেই আধিকারিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রয়োজনে তাঁর বেতন থেকে টাকা কাটা হবে বা তার সম্পত্তি থেকে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করারও নির্দেশ দেয় আদালত। যদি তা না সম্ভব হয়, তবে রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে এই ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন তখনই উঠবে যদি এই ক্ষয়ক্ষতি ২০১৩-র নির্বাচনের থেকে বেশি হয়। আদালতের যুক্তি, ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হয়েছিল। এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা জানায়নি কমিশন। রাজ্য যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে তাতেই সন্তুষ্ট কমিশন। তাই ২০১৩-র চেয়ে বেশি প্রাণহানি হলে বা ক্ষয়-ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, মন্তব্য আদালতের।

আদালতের এই রায় বিরোধীদের আশাহত করলেও, বৃহস্পতিবার দিনটা শুরু হয়েছিল অন্য ভাবে। নির্বাচন কমিশন হঠাৎ তিন দফার বদলে এক দফায় নির্বাচন ঘোষণা করল কেন, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা করে সিপিএম। সিপিএমের পক্ষে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ তোলেন, বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের রায় অমান্য করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন। সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, মামলাকারী সব পক্ষের সঙ্গে অর্থবহ আলোচনা করে তবেই নির্বাচন ঘোষণা করবে কমিশন। অথচ বাস্তবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার পর মামলাকারীদের আলোচনার জন্য ডাকে কমিশন। বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এবং অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ, কমিশনের এই ভূমিকাকে কটাক্ষ করে, এবং শুক্রবার ওই আলোচনার বিস্তারিত সিদ্ধান্ত জমা দিতে নির্দেশ দেন। তবে প্রধান বিচারপতির বৃহস্পতিবারের রায়ের পর শুক্রবারের মামলা কার্যত গুরুত্ব হারাল।

West Bengal Panchayat Elections 2018 State Election Commission Calcutta High Court Panchayat Poll পঞ্চায়েত নির্বাচন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy