Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মনোনয়ন প্রত্যাহার কেন, কৈফিয়ৎ চান কৈলাসরা

পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থিসংখ্যার হিসাব নিতে এবং প্রচারের পরিকল্পনা করতে সোমবার দলের মোর্চা এবং জেলাগুলির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব।

কৈলাস মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

কৈলাস মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৮ ০৪:৫৮
Share: Save:

পঞ্চায়েতের প্রায় সাত হাজার আসনের প্রার্থী কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন, তা নিয়ে রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বের কৈফিয়ৎ তলব করলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থিসংখ্যার হিসাব নিতে এবং প্রচারের পরিকল্পনা করতে সোমবার দলের মোর্চা এবং জেলাগুলির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানেই কৈলাস মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগে বলেছিলেন, পঞ্চায়েতের তিনটি স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার আসনে তাঁরা প্রার্থী দিয়েছেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব শেষ হওয়ার পর পঞ্চায়েতের তিনটি স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩১ হাজার আসনে আমাদের প্রার্থী আছেন।’’ উত্তরবঙ্গ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপি-র মনোনয়নের সংখ্যা ভাল হয়েছে।

বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে কৈলাস সাফ বলে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর্বে সব জেলা এবং রাজ্যের নেতা-নেত্রীদের দক্ষতা যাচাই করা হচ্ছে। এই পরীক্ষায় যাঁরা অকৃতকার্য হবেন, ভোটের পর তাঁদের বিদায় দেওয়া হতে পারে। যে সব জেলায় মনোনয়ন বেশি প্রত্যাহার হয়েছে, সেই জেলাগুলির নেতাদের বিশেষ করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৈলাস। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি এবং প্রশাসন পরিচালনা এ রাজ্যে বিজেপি-র সামনে অভূতপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে। এখনও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা অদক্ষতার নামান্তর। দলীয় সূত্রের আরও খবর, ওই বৈঠকে বিভিন্ন জেলার নেতা শাসক দলের সন্ত্রাসকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের কারণ হিসাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কৈলাস বলেন, সন্ত্রাসের বিবরণ দিয়ে লাভ নেই। সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই লড়তে হবে। মোর্চা নেতৃত্বকে এ দিন কৈলাস বলেছেন, যাঁরা মৃত্যুভয় না করে পঞ্চায়েত ভোটে লড়বেন, প্রতিরোধ করবেন, তাঁরাই ভবিষ্যতে নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক হবেন। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ বৈঠকে বলেন, এখন আর পিছু হঠার জায়গা নেই। সকলকে সামনে এগোতেই হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE