Advertisement
১০ মে ২০২৪

বিশ্ব অঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত তমলুকের বিদিশা

জাপানের কানাগাওয়া বিশ্ব শিশু অঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেল তমলুকের মেয়ে বিদিশা বাইচার। তমলুক শহরের বাসিন্দা তমলুকের রাজকুমারী সান্ত্বনাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। শহরের দি সোনা আর্ট অ্যান্ড কালচার স্কুলে অঙ্কন শেখে বিদিশা। ওই কার স্কুলের মোট ১১৬ জন ছাত্র-ছাত্রীর ছবি গত বছর অক্টোবর মাসে পাঠানো হয়েছিল জাপানের অষ্টাদশ দ্বিবার্ষিক কানাগাওয়া বিশ্ব শিশু অঙ্কন প্রতিযোগিতায়।

তুলি হাতে বিদিশা। —নিজস্ব চিত্র।

তুলি হাতে বিদিশা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০৪:০৭
Share: Save:

জাপানের কানাগাওয়া বিশ্ব শিশু অঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেল তমলুকের মেয়ে বিদিশা বাইচার। তমলুক শহরের বাসিন্দা তমলুকের রাজকুমারী সান্ত্বনাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। শহরের দি সোনা আর্ট অ্যান্ড কালচার স্কুলে অঙ্কন শেখে বিদিশা। ওই কার স্কুলের মোট ১১৬ জন ছাত্র-ছাত্রীর ছবি গত বছর অক্টোবর মাসে পাঠানো হয়েছিল জাপানের অষ্টাদশ দ্বিবার্ষিক কানাগাওয়া বিশ্ব শিশু অঙ্কন প্রতিযোগিতায়। বিশ্বের ৯৫ টি দেশের মোট ২৬ হাজার ৪৭২ জন ছেলে-মেয়ে ওই শিশু অঙ্কন প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। এদের মধ্যে থেকে পুরস্কারষ্কারপ্রাপ্ত হিসেবে তমলুকের মেয়ে বিদিশার জল রঙে আঁকা দুর্গার মুখের ছবি নির্বাচিত হয়েছে।

জাপানের ওই শিশু অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজক সংস্থার তরফে পাঠানো চিঠি শনিবার তমলুকের ওই অঙ্কন স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে এসেছে। তমলুক শহরের মেয়ে বিদিশার এই সাফল্যে খুশি তাঁর অঙ্কন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তমলুক শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পার্বতীপুর এলাকার বাসিন্দা বিদিশার বাবা সৌম্যেন্দুসুন্দর বাইচার ও মা সুপ্রিয়া দাস বাইচার দু’জনেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বিদিশার দাদা আর্যভাস্কর বাইচার এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পাঁচ বছর বয়স থেকে তমলুকের ওই আঁকার স্কুলের ছাত্রী বিদিশা পড়াশোনার পাশাপাশি অঙ্কন ছাড়াও নাচ শেখে আর অবসর সময়ে রহস্য উপন্যাস পড়ে। চিকিৎসক হতে চাওয়া বিদিশার প্রিয় বিষয় ইংরেজি।

বিদিশার অঙ্কন স্কুলের অধ্যক্ষ সনাতন দাস বলেন, ‘‘জাপানের কানাগাওয়া বিশ্ব শিশু অঙ্কন প্রতিযোগিতায় গত কয়েক বছর ধরেই আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সাফল্যলাভ করে আসছে। গত বছর আমাদের স্কুলের তিনজন পুরস্কার পেয়েছিল এ বছরও বিদিশা সেই সাফল্যলাভ করায় আমরা খুশি। এতে অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা অনুপ্রেরণা পাবে।’’ বিদিশার কথায়, ‘‘পড়াশোনার সাথে ছবি আঁকা শেখা চালিয়ে যেতে চাই। ভবিষ্যতে নিজের আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী করার ইচ্ছে রয়েছে।’’ মেয়ের সাফল্যে খুশি সৌম্যেন্দুবাবু বলেন, ‘‘পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে বিদিশার ছবি আঁকার আগ্রহ ছিলই। তবে এত তাড়াতাড়ি আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পাবে ভাবতে পারিনি। ওর জন্য আমরা গর্বিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE