চোখ জুড়োনো স্থাপত্যের মন্দিরগুলি ৩০০-৪০০ বছরের পুরনো। বাংলার পোড়ামাটির শিল্পঘরানার স্বাক্ষর। কিন্তু কোথায় কোন মন্দির রয়েছে, খুঁজতেই পর্যটকেরা গলদ্ঘর্ম। না আছে ঠিকঠাক যোগাযোগ ব্যবস্থা! না আছে গোটা তল্লাটে সৌন্দর্যায়নের ভাবনা। বাড়তি বলতে দখলদারদের উৎপাত!
সব অসুবিধা কাটিয়ে পর্যটনের প্রসারে বিষ্ণুপুরের মন্দিরগুলিকে এ বার বিভিন্ন ‘ক্লাস্টার’ বা গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এক যাত্রায় ১৯টি মন্দির ঘুরে দেখার জন্য পরিবেশবন্ধু যানবাহনের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। গোটা তল্লাট ঢেলে সাজতে কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। রাজ্যের পর্যটন সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনের কথায়, ‘‘১৯টি মন্দির ছড়িয়ে আছে আড়াই বর্গ কিলোমিটার জুড়ে। তার মাঝখানে আছে ঘরবাড়ি, বেদখল জমিও। পরিবহণ ব্যবস্থা বেহাল। এই অবস্থা বদলানোর চেষ্টা চলছে।’’ পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা ফণিকান্ত মিশ্র জানান, কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে বিষ্ণুপুরের উন্নয়নের পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে সবার আগে সরাতে হবে দখলদারদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy