Advertisement
E-Paper

বিজেপির হামলায় রণক্ষেত্র দুই গ্রাম, নিহত ১

প্রতিরোধ বদলে গেল আক্রমণে। বীরভূমে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে এ বার নতুন মোড়। অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে এত দিন তৃণমূলীদের হামলার প্রতিরোধ গড়ছিল বিজেপি। এ বার পাড়ুইয়ের সিরশিট্টা গ্রামে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধেই। প্রতিরোধ করল শাসক দল তৃণমূল। দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১৭ বছরের বিজেপি কর্মী, শেখ জসিমউদ্দিন। আহত এক তৃণমূল সমর্থকও।

দয়াল সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:১১
চৌমণ্ডলপুরের ধানজমিতে পড়ে রয়েছে বিজেপি কর্মী শেখ জসিমউদ্দিনের দেহ।

চৌমণ্ডলপুরের ধানজমিতে পড়ে রয়েছে বিজেপি কর্মী শেখ জসিমউদ্দিনের দেহ।

প্রতিরোধ বদলে গেল আক্রমণে। বীরভূমে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে এ বার নতুন মোড়।

অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে এত দিন তৃণমূলীদের হামলার প্রতিরোধ গড়ছিল বিজেপি। এ বার পাড়ুইয়ের সিরশিট্টা গ্রামে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধেই। প্রতিরোধ করল শাসক দল তৃণমূল। দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১৭ বছরের বিজেপি কর্মী, শেখ জসিমউদ্দিন। আহত এক তৃণমূল সমর্থকও।

গত ২৭ অক্টোবর পাড়ুইয়েরই মাখড়া গ্রামে বহিরাগত সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা তার প্রতিরোধ করেন। সংঘর্ষে মারা যান তিন জন। নিহতদের মধ্যে দু’জন তৃণমূলের এবং এক জন বিজেপির সমর্থক ছিলেন। ওই ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যেই ফের খুনোখুনি। এ দিন নিহত জসিমউদ্দিন সম্পর্কে পাড়ুইয়ের বিজেপি নেতা সদাই শেখের (এক সময়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন) ভাইপো। এ দিন সিরশিট্টা গ্রামে সদাই ও জসিমউদ্দিনের নেতৃত্বেই হামলা হয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। জসিমউদ্দিনের দেহ অবশ্য উদ্ধার হয়েছে চৌমণ্ডলপুরের ধান জমি থেকে।

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে কয়েক দিন ধরেই বীরভূমের এই অঞ্চল অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। বাসিন্দাদের কথায়, রাজনৈতিক হিংসার মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে পাড়ুই! সেখানে প্রকাশ্যে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি-মাস্কেট নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আর পুলিশ কার্যত নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। এক দিকে শাসক দলের রাজনৈতিক জমি হারানো, অন্য দিকে সংখ্যালঘুদের ক্রমশ বিরোধী শিবিরে সরে যাওয়া দু’দিক থেকেই বাম জমানার নন্দীগ্রামের সঙ্গে পাড়ুইয়ের মিল পাচ্ছেন অনেকে। আবার যে ভাবে রাজনৈতিক জমি দখলের লড়াই শুরু হয়েছে দু’দলের, তাতে পাড়ুইয়ের মাটিতে কেশপুরের ছায়াও দেখা যাচ্ছে প্রবল ভাবে।

গত বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভায় যাওয়ার পথে পাড়ুইয়ের ইমাদপুরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিজেপির। তার প্রতিবাদে শনিবার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত ইমাদপুরে সভা করেন। সেই সময় ইমাদপুর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে, বনশঙ্কা পঞ্চায়েতের সিরশিট্টা গ্রামে ফের দু’দলের বোমার লড়াই শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে শূন্যে গুলি ছুড়তে হয়। তখন থেকেই তেতে ছিল সিরশিট্টা। কিন্তু সেই পরিস্থিতি যে এ দিন এমন রক্তক্ষয়ী চেহারা নেবে, তা সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি বিজেপি এবং তৃণমূলের জেলা বা রাজ্য নেতৃত্বও।

বস্তুত সিরশিট্টায় সংঘর্ষের কথা রবিবার অনেক বেলা অবধি জানতেনই না জেলা বিজেপির একাধিক নেতা! দলের জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল বলেন, “আমি এ দিন বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে অন্ডালের সভায় ছিলাম। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনার খবর পাই।” বিজেপির বোলপুর ব্লক সভাপতি বলাই চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “দুপুর পর্যন্ত কিছুই জানতাম না!”


জসিমউদ্দিনের শোকার্ত মা জেবউন্নিসা বিবি।

রবিবার সংঘর্ষ শুরু হয় সকাল ৮টার কিছু আগে। অথচ দলের জেলা সভাপতি নিজেই ঘটনার কথা জানলেন প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা পরে! স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, পাড়ুইয়ে দলের উপরে কি রাশ নেই তাঁদের? ঘটনা হল, তৃণমূলের (আরও নির্দিষ্ট করে বললে অনুব্রত মণ্ডল) ‘দাদাগিরি’-তে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যের অনেক এলাকার মতো বীরভূমেও তৃণমূল-সিপিএম থেকে বহু লোক বিজেপিতে চলে যাচ্ছেন। সেই খবর নেতৃত্বের কাছে পৌঁছচ্ছেও না। বিজেপির মিটিং-মিছিলে এখন এমন অনেককেই দলের পতাকা হাতে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা ক’দিন আগেও ছিলেন শাসক দলের শিবিরে।

জেলা পুলিশের একটি সূত্রেও জানা যাচ্ছে, বিজেপিতে নাম লিখিয়েই তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর উপরে আক্রোশ মেটানোর পথ খুঁজে নিচ্ছেন অনেক বিক্ষুব্ধ। বিজেপির ছাতার তলায় গিয়ে কখনও তাঁরা এক জোট হয়ে তৃণমূলের আক্রমণ প্রতিহত করছেন। কখনও তৃণমূল প্রভাবিত এলাকায় আক্রমণও শানাচ্ছেন।

রবিবার অনেকটা সে রকমই হয়েছে সিরশিট্টায়।

ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি অনুব্রতর। ফোন করা হলে তাঁর এক সঙ্গী বলেন, “দাদা ব্যস্ত আছেন।” সিউড়ি ২ ব্লক (এই ব্লকেরই অন্তর্গত সিরশিট্টা) তৃণমূলের সভাপতি নুরুল ইসলামের অভিযোগ, “বিজেপির কিছু দুষ্কৃতী সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ প্রথমে হামলা চালায় যাদবপুর গ্রামে। সেখানে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ি-সহ বেশ কিছু বাড়িতে বোমাবাজি, ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। পরে স্থানীয় ও বহিরাগত মিলিয়ে প্রায় ২৫০ জন বিজেপির সশস্ত্র দুষ্কৃতী সদাই শেখের নেতৃত্বে আক্রমণ করে সিরশিট্টায়।” তাঁর দাবি, মাখড়া, চৌমণ্ডলপুর, দুবশঙ্কা প্রভৃতি গ্রাম থেকে দুষ্কৃতীদের ভাড়া করে এনেছিল বিজেপি।

এমনিতেই পাড়ুই থানার অন্য অনেক গ্রামের মতো সিরশিট্টাতেও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল এবং সিপিএমের একটা বড় অংশ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছিল। গ্রামের প্রায় ৩০০টি পরিবারের মধ্যে প্রকাশ্যেই বিজেপি করতে দেখা যাচ্ছিল শ’খানেক পরিবারকে। মিটিং-মিছিলেও যাচ্ছিলেন তাঁরা। এই গ্রামেরই বাসিন্দা তথা বনশঙ্কা পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপ-প্রধান নারায়ণ পাল এবং সিউড়ি ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সফিউর রহমানের কর্তৃত্ব আলগা হচ্ছিল ক্রমশ। এঁরা দু’জনেই অনুব্রত-শিবিরের লোক হিসাবে পরিচিত। সব মিলিয়ে গ্রামে দাপট কমার আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতারা।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, বর্তমানে সিরশিট্টা গ্রামের মানুষ রাজনৈতিক ভাবে আড়াআড়ি বিভাজিত। বিজেপি-তৃণমূল, দুই দলের কর্মী-সমর্থকেরাই পরস্পরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। সামান্য কারণেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সামগ্রিক ভাবে একটা অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে গ্রামে। সেটাই আরও বড় আকার নেয় পাড়ুইয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে। বিশেষ করে ইমাদপুরে গত বুধবার বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় এই গ্রামের বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী-সমর্থকের নাম ছিল তৃণমূলের দায়ের করা এফআইআরে। তার জেরেই শনিবার ইমাদপুরে অনুব্রতর সভায় যাওয়া থেকে গ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিজেপি-র লোকজন বাধা দেন বলে জানা যাচ্ছে।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত নন, এমন কিছু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ চেয়েছিলেন, রাজনৈতিক বিরোধ যেন হিংসার চেহারা না নেয়। তাঁদের এক জনের কথায়, “গ্রামে এই মুহূর্তে বিঘার পর বিঘা জমিতে পাকা ধান রয়েছে। সেটা তোলার সময় এসে গিয়েছে। এই অবস্থায় অশান্তি শুরু হলে এই চাষের উপরে নির্ভরশীল কয়েকশো পরিবার ধনেপ্রাণে মারা যাওয়ার উপক্রম হবে। তাই আমরা যুযুধান দু’পক্ষকেই বোঝাতে উদ্যোগী হই।”

শেখ ইস্রাফিল, শেখ মনিরুল, আনাই দাস, শেখ সুকুরের মতো গ্রামের কিছু সক্রিয় বিজেপি কর্মীকে মীমাংসা বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। অন্য দিকে, তৃণমূলের দুই নেতা সফিউর রহমান ও নারায়ণ পালকেও জানানো হয়। এক মধ্যস্থতাকারী জানান, বিজেপির তরফে দু’টি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। প্রথমত, গ্রামের মানুষ যে যা দলই করুন, পরস্পরের প্রতি কটূক্তি বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ইমাদপুরের সংঘর্ষে গ্রামের যে বিজেপি কর্মীদের নামে অভিযোগ হয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে তৃণমূলকে। “শনিবার রাত দেড়টা পর্যন্ত মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তৃণমূল সে ভাবে সাড়া দেয়নি”এ দিন গ্রামে বসেই আক্ষেপ করছিলেন এক প্রবীণ।

গ্রাম সূত্রের খবর, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের তরফে বলা হয়েছিল, মীমাংসা করতে হলে রাতেই করতে হবে। তা না হলে তারা ছাড়বে না! এ দিন সকালে সফিউর রহমান মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে বিজেপি শিবিরে একটি সমঝোতা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতাও মানছেন, শনিবার রাতে মীমাংসার একটা চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি।

এ দিন হামলা যে হতে পারে, সে কথা আঁচ করতে পেরেছিলেন গ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরাও। রাতারাতি তৃণমূল সমর্থক বাড়ির মহিলা-শিশুদের সরিয়ে দেওয়া হয় মসজিদে। সকাল ৭টার কিছু পর থেকেই বোমা ফাটাতে ফাটাতে গ্রামে ঢুকে পড়ে বহিরাগতেরা। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বেছে বেছে তাঁদের বাড়িতেই বোমা মারতে থাকে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। হোসেন আজিজ নামে বছর উনিশের এক তৃণমূল সমর্থক যুবকের ডান পায়ে গুলি লাগে। পেশায় রংমিস্ত্রি হোসেনের দাবি, “সকাল থেকেই বিজেপির গুন্ডারা বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালায়। আজ আর কাজে বেরনো হবে না বুঝতে পেরে আমি মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম। তখনই ওরা গুলি চালাল।”

প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় তৃণমূল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তখনই গুলি লাগে জসিমউদ্দিনের। এর পরেই হামলাকারীরা পিছু হটে। গ্রামের ‘দখল’ নেয় তৃণমূলের লোকজন। গ্রামের বিজেপি প্রভাবিত খাসপাড়া, মালিপাড়া, ডোমপাড়া, চাষাপাড়ায় নতুন করে শুরু হয় বোমাবাজি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামের সাধারণ মানুষ। শেখ সেলিম, দক্ষিণ বাগদিদের মতো বিজেপি সমর্থকেরা বলেন, “তৃণমূল বাইরে থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসেছিল। ওরা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে বেছে বেছে আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়েছে, বোমাবাজি করেছে।” বিজেপি সমর্থক পরিবারের অধিকাংশ পুরুষই গ্রামছাড়া।

গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল পাড়ুই থানার পুলিশের একটি টহলদারি ভ্যান। কিন্তু সংঘর্ষের তীব্রতা দেখে পুলিশকর্মীরা তা ঠেকানোর চেষ্টায় যাননি। পরে অবশ্য বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রামে ঢোকে। সিআই (বোলপুর) চন্দ্রশেখর দাসের নেতৃত্বে র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স রাতেও ওই গ্রামে পাহারায় রয়েছে।

পাড়ুই থেকেই যে তৃণমূলের ‘পতনের শুরু’ হবে, তা বুধবারের জনসভায় দাবি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। এ দিনের সংঘর্ষের পরেও বিজেপি নেতারা একই দাবি করেছেন। রাজ্যে বিজেপির একমাত্র বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, ওদের দিন শেষ হয়ে আসছে। তাই পুলিশ এবং দুষ্কৃতীদের সাহায্যে আমাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমাদের কর্মী-সমর্থকদের খুন পর্যন্ত করছে।” আজ, সোমবার তাদের প্রতিনিধিদল পাড়ুইয়ে আসবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুর অভিযোগ, “রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বামপন্থী কর্মী-সমর্থকদের উপর এই ভাবেই পুলিশের সাহায্য নিয়ে তৃণমূল অত্যাচার করেছে। খুন করেছে। এখনও তা-ই করছে।”

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধেই অশান্তি বাধানোর পাল্টা অভিযোগ করেছেন। পার্থবাবুর আরও দাবি, “বিজেপির জনসমর্থন নেই। কিন্তু কিছু গুন্ডা-দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে কখনও পাড়ুই, কখনও শিলিগুড়ি বা অন্যত্র তারা অশান্তি করার চেষ্টা করছে।”

—নিজস্ব চিত্র

parui bjp tmc clash dayal sengupta sirshitta sekh jasimuddin 1 killed Bombing bjp attack village police death state news online news
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy