ছবি: সংগৃহীত।
কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুর সদর এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জয়-পরাজয়ের খবর মিলবে ২৮ নভেম্বর। তবে ভোটের আগের খতিয়ানে দেখা যাচ্ছে, ফৌজদারি মামলার নিরিখে অন্যদের পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তৃণমূল, কংগ্রেস বা সিপিএমের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যা নেই। ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে বৈভবে এগিয়ে আছেন খড়্গপুর সদরের বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা। নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ।
সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলন করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাব। ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহ। জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা দ্রুত রূপায়ণের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। অভিযোগের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাগ্রহণ রিপোর্টে যাতে ত্রুটিবিচ্যুতি না-হয়, তা দেখার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)।
প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, প্রতারণা, শ্লীলতাহানি-সহ ন’টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। খুনের চেষ্টা, জমি সংক্রান্ত প্রতারণা-সহ তিনটি মামলা চলছে প্রেমচাঁদের বিরুদ্ধে। একটি করে মামলা রয়েছে কালিয়াগঞ্জের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী প্রদীপকুমার রায়, খড়্গপুর সদরের নির্দল প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা প্রদীপ পট্টনায়ক, শিবসেনা প্রার্থী দেবায়ন পাতির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ছিটমহলবাসীদের ঘরের চাবি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বৈভবে এগিয়ে প্রেমচাঁদ। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির মূল্য চার কোটি টাকার বেশি। কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী ধীতশ্রী রায় এবং করিমপুরের তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায়ের স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে দু’কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি আছে। এক কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তির মালিক কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী তপন সিংহরায় এবং খড়্গপুর সদরের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। সব থেকে কম সম্পত্তি রয়েছে খড়্গপুর সদরের নির্দল প্রার্থী মহম্মদ ইবরারের (৮৫০০ টাকা)।
তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এখনও পর্যন্ত ১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। এ দিন সিইও-র কাছে স্মারকলিপি দিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব দাবি জানান, তিন কেন্দ্রেরই সব বুথে আধাসেনা মোতায়েনের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy