ভোটে লড়াই ছিল তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস— তিন পক্ষের সঙ্গেই। কিন্তু বিধানসভায় প্রয়োজনে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে কক্ষ সমন্বয় করে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান বলে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির তিন বিধায়ক দিলীপবাবু, স্বাধীন সরকার এবং মনোজ টিগ্গা সোমবার বিধানসভায় শপথ নেন। তার পরে দিলীপবাবু বিরোধীদের উপর তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘কেউ আমাদের বোমা মারলে আমরা চা-শিঙাড়া খাওয়াব— এটা হয় না। এক দিকে হিংসা চলবে, অন্য দিকে মিষ্টি কথা চলবে, এটা হয় না। জনগণের পক্ষে যা হিতকর হবে, তাতে আমরা তৃণমূলের পাশে থাকব। কিন্তু না হলে সকলে মিলে বিরোধিতা করব।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সরকারকে মানুষ ভোট দিয়েছে জনগণের স্বার্থে কাজ করার জন্য। সরকার লাইনের বাইরে গেলে লাইনে নিয়ে আসা আমাদের কাজ। বিরোধীরা একসঙ্গে মিলে সেই চেষ্টা করবে। উন্নয়নের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে।’’ মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করার জন্য কংগ্রেস এবং বামেদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি। তবে এও জানান, বিধানসভার বাইরে বিজেপি যেমন একা লড়াই করছে, তেমনই করবে।
বাম এবং কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির ঘোষিত প্রতিপক্ষ। তাদের সঙ্গে কক্ষ সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমতি মিলবে? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘দিল্লির রাজনীতি দিল্লিতে। এখানে আমরা আমাদের মতো। সাংগঠনিক ভাবে দিলীপ ঘোষ যেটা ঠিক মনে করবে, সেটাই করবে। যাতে সংগঠন শক্তিশালী হয়। রাজনীতিতে নেতারা যেটা ভাবে, সেটা করে না অনেক সময়। কিন্তু দিলীপ ঘোষ যেটা ভাবে, সেটা করে।’’
দিলীপবাবুর কক্ষ সমন্বয়ের বার্তা জেনে বিরোধী দলনেতা এবং বাম-কংগ্রেস জোটের মুখ আব্দুল মান্নানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি বিবৃতিতে বিশ্বাস করি না। কাজে বিশ্বাস করি। আগামী দিনে কে কেমন ভূমিকা নিচ্ছে, মাঠে-ময়দানে লড়াই করছে কি না, সে সব দেখতে হবে।’’
বামেদের তরফে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিধানসভার মধ্যে বিরোধীদের কক্ষ সমন্বয় হয়েই থাকে। এর মধ্যে অন্য কিছু নেই। সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীরা কক্ষ সমন্বয় করেই প্রতিবাদ করে। এমনকী, বিধানসভা চালানোর জন্য অনেক সময় শাসক পক্ষের সঙ্গেও বিরোধীদের সমন্বয় করতে হয়। কিন্তু দেখতে হবে, বিজেপি তৃণমূলকে কতটা সাহায্য করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy