কলকাতা শহরে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের (বিইইউপি) টাকা ঢিমেতালে খরচ হচ্ছে বলে অভিযোগ করল বিজেপি। শহরের সাংসদ এবং বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করার নোডাল এজেন্সি কলকাতা পুরসভা। বিধায়ক তহবিলের টাকায় এলাকা উন্নয়নের কাজ কতটা এগিয়েছে তা দেখতে সোমবার পুরভবনে যান বিধানসভার বিআইইউপি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মুর নেতৃত্বাধীন এই কমিটির প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ-সহ মোট ছ’জন।
পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পরে অন্য বিধায়কেরা মুখ না খুললেও দিলীপবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী-সহ কয়েকজন মন্ত্রীর বিধায়ক তহবিলের টাকা কম খরচ হয়েছে। এর মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সাধন পাণ্ডেদের নামও রয়েছে।’’ যা শুনে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, ‘‘এলাকার প্রয়োজনে আমরা টাকা দিই। বরাদ্দ সবটাই উন্নয়নের কাজে খরচ হয়। পড়ে থাকে না। দিলীপবাবুদের এ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক তহবিলে জমা পড়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। পার্থবাবু, সুব্রতবাবু, সাধনবাবুদের তহবিলে জমা পড়েছে ৩০ লক্ষ টাকা করে। এ বিষয়ে পার্থবাবু বলেন, ‘‘জানি তো, সব টাকা খরচ হয়নি। আমি স্কুল ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নে মূলত টাকা দিই। এর মধ্যেই কি সব টাকা খরচ করে ফেলা সম্ভব?’’ সুব্রতবাবুর বক্তব্য, ‘‘টাকা খরচের সময় তো শেষ হয়ে যায়নি। আমি জানি কোথায় কখন কী ভাবে টাকা খরচ করতে হয়।’’ সাধনবাবু বলেন, ‘‘আমি খুচরো খুচরো করে টাকা খরচ করি না। এলাকার মানুষের জন্য সুইমিং পুল, ছাত্রাবাসের মতো স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করি। পাঁচ বছর শেষ হলে দেখা যাবে টাকা শেষ।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকা উন্নয়নের জন্য প্রতি বিধায়ককে বছরে ৬০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। বছরে দুই কিস্তিতে সেই টাকা দেওয়া হলেও প্রথম ৩০ লক্ষ টাকা টাকা দেওয়া হয় বিধায়ক হওয়ার পরই। সেই টাকার ৩০ শতাংশ খরচের হিসেব জমা দিলে পরবর্তী কিস্তির টাকা আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy