প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’টি বাসের রেষারেষিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। —নিজস্ব চিত্র।
শহর কলকাতার মতোই বাসের রেষারেষি। তবে এ বার নদিয়ার তেহট্টে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এক শিশু এবং চার মহিলা-সহ ৮ জন। আহত অন্তত ৮৩।
তেহট্ট থানার পুলিশ জানিয়েছে, যাত্রিবোঝাই বাসটি কৃষ্ণনগর থেকে তেহট্টের পলাশিপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। ভিড়েঠাসা বাসের ছাদে বসেছিলেন একাধিক যাত্রী। তার মধ্যে স্থানীয় ধরণীপুর হাইস্কুলের স্কুলের ছাত্ররাও ছিল। দুর্ঘটনায় মৃতদের নাম নিজামউদ্দিন মণ্ডল (৬৫), অনুষ্কা হালদার (২), বেঞ্জিরা বিবি (২৪), রেশমা বিবি মণ্ডল (৩৫), রেজাউল করিম মণ্ডল (৩০), বিশাখা হালদার (৪০), রীতা প্রামাণিক(৩৮) এবং রাজেশ প্রামানিক(৩২)। এ দিন সকালেই দু’টি বাসের মধ্যে রেষারেষির জেরে দুর্ঘটনা ঘটে হাওড়া ব্রিজে। তাতে আহত হন ৯ জন।
আরও পড়ুন
বিপদ জেনেও ঝুরঝুরে বাড়ি আঁকড়ে ভাড়াটেরা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ দু’টি বাসের রেষারেষিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় মাঠে কাজ করছিলেন হাফিজুল শেখ। তিনি বলেন, “একই রুটের একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। দু’টি বাসের রেষারেষির সময় তার মধ্যে একটি লরি ঢুকে পড়ে। লরিটিকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে বাসটি।” বাসের যাত্রী ধরণীপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্র বসির আহমেদ শেখ বলে, “স্কুলের একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎই প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে বাসটি। কিছু বোঝার আগেই নয়ানজুলির জলে পড়ে যাই।”
আরও পড়ুন
সুচ-কাণ্ডের শিক্ষায় কন্যাশ্রী রক্ষার উদ্যোগ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তেহট্ট থানার পুলিশ। আহতদের প্রথমে তেহট্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুতর জখম ৩৮ জনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের এই বক্তব্য সত্ত্বেও পুলিশের দাবি, রেষারেষি নয়, যান্ত্রিক গোলযোগেই সম্ভবত দুর্ঘটনা ঘটেছে। নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) তন্ময় সরকার বলেন, “প্রাথমিক তদন্তের পর দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার পরই পলাতক বাসচালক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy