কেব্ল টিভি বন্ধ। বন্ধ ইন্টারনেট, ওয়াইফাই পরিষেবা। বৃহস্পতিবার দিনভর এই পরিস্থিতি থাকল ভাঙড়ে।
গোলমাল যাতে নতুন করে না ছড়ায় সেই আশঙ্কায় এলাকায় ঢুকছে না পুলিশ। জমি আন্দোলনের মাঝে পড়ে গুলিতে নিহতদের বাড়িতে পা রাখেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি, টেলিভিশনের খবরই হোক কিংবা সোস্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা রটনা— সে সবের জেরে এলাকা যাতে নতুন করে উত্তপ্ত না হয়, সে জন্য প্রশাসনই এই কৌশল নিয়েছে বলে মনে করছেন ভাঙড়ের বাসিন্দারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কোনও কর্তা বা সরকারি তরফে কেউ এ কথা মানতে চাননি। জেলাশাসক পিবি সালিম বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। কেন পরিষেবা বন্ধ, তা দেখতে বলা হয়েছে।’’
ইন্টারনেট, কেব্ল টিভি মোবাইল পরিষেবা স্তব্ধ হলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক মিলছে। রাজ্য সরকারের তরফে ‘জনস্বার্থে’ একটি বার্তা ঘুরছে মোবাইল ফোনে। তাতে লেখা, ‘রাজ্য সরকার ভাঙড়বাসীর সঙ্গেই আছে। কোনও জমি জোর করে নেওয়া হবে না। স্থানীয় মানুষ না চাইলে প্রকল্পই বাতিল করে দেওয়া হবে।’ ওই বার্তায় আরও বলা হচ্ছে, ‘কিছু মাওবাদী এবং দুষ্কৃতী এলাকায় ঢুকে নিজেদের স্বার্থে স্থানীয় মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। এরা কেউই গোলমালের পরে এলাকায় থাকবে না। কিন্তু ভাঙড়ের মানুষকে শান্তিতে বসবাস করতে হবে। কেউ যেন মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত না হন।’
ইংরেজিতে লেখা এ হেন বার্তা ভাঙড়ের মানুষ কতটা উদ্ধার করতে পেরেছেন, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। গোলমাল নতুন করে না ছড়ালেও এ দিন ভাঙড়ে উত্তেজনা ছিল টান টান। জায়গায় জায়গায় ইটের পাঁজা, কাঠের গুঁড়ির ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের গাড়িও তল্লাশি করে দেখেন গ্রামের মানুষ। পুলিশ যাতে গ্রামে ঢুকতে না পারে, সেটা যে ভাবে হোক ঠেকাতে চাইছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে আশঙ্কা, বাইরে থেকে অস্ত্র ঢুকতে পারে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বুধবার রাতে গ্রামে গ্রামে মোটরবাইক নিয়ে ঘুরেছে বহিরাগতরা। আন্দোলন তোলার জন্য হুমকি দিচ্ছে তারা। নেতা শেখ নিজামুদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের ১১ জনকে ধরেছে পুলিশ। তাদের ছাড়তে হবে। ১৬ জন নিখোঁজ। তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন চলবে।’’ প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীকে এলাকায় এসে ঘোষণা করতে হবে বলেও দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy