Advertisement
০২ মে ২০২৪

অন্য রকমের কাজে সুযোগ উপার্জনের

দশম, দ্বাদশ শ্রেণির পরে স্নাতক, স্নাতকোত্তর। চাইলে তারও পরে গবেষণা। গতানুগতিক পথে পড়াশোনা তো রয়েছেই। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে উপার্জনের সুযোগ। তুলনায় কম প্রচলিত কোর্সগুলিতে প্রার্থীদের ভিড় কম হওয়ায় সাফল্যের হার বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:২০
Share: Save:

দশম, দ্বাদশ শ্রেণির পরে স্নাতক, স্নাতকোত্তর। চাইলে তারও পরে গবেষণা। গতানুগতিক পথে পড়াশোনা তো রয়েছেই। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে উপার্জনের সুযোগ। তুলনায় কম প্রচলিত কোর্সগুলিতে প্রার্থীদের ভিড় কম হওয়ায় সাফল্যের হার বেশি।

টি টেস্টার: শুধু বাংলায় নয়, চায়ের কদর সারা বিশ্বে। এই চায়ের স্বাদ-গন্ধের পরখ করে মান নির্ধারণের কাজ যেমন আকর্ষণীয় তেমনই মূল্যবান। কাজ হল, চা খেয়ে- দেখে তার গুণমান নির্ধারণ, সেগুলি কী ভাবে আরও উৎকৃষ্ট করা যায় তার পরামর্শ দেওয়া ও সঠিক ‘মিক্সিং’ নির্ধারণ করা। চা-এর স্বাদ-গন্ধ সম্পর্কে জ্ঞান থাকার বাইরেও চা চাষ, উৎপাদন, বিপণন সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে।

অপ্টিসিয়ান: চোখের যত্নে আর এক দিক—এদের মূল কাজ হল চশমার কাচ ঠিক ভাবে ফ্রেমে বসানো। আরও নির্দিষ্ট করে বললে কর্নিয়ার দূরত্ব মেপে লেন্সকে ঠিক ভাবে বসানো চশমার ফ্রেমে। কনট্যাক্ট লেন্স বা নকল চোখ বসানোর মতো কাজও করে থাকেন অপ্টিসিয়ানরা। অভিজ্ঞ লোকের কাছে ইন-ফর্মাল ট্রেনিং নিয়ে এই কাজ শেখা যায়। আবার বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করার পরে এই বিষয়ে পড়াশোনা করা যায়। দিল্লির এইমস্, সিমলার ইন্দিরা গাঁধী মেডিক্যাল কলেজ, অমৃতসরের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ ইউনিভর্সিটিতে অপ্টিসিয়ান কোর্স পড়ানো হয়।

ফোটোনিক্স: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভাল চাহিদা থাকলেও এই বিষয় নিয়ে খুব কম লোকজনই পড়াশোনা করে। ইলেকট্রনিক্স ও অপটিক্যাল প্রযুক্তির মিশ্রণ এই কোর্সে মূল উপজীব্য হল ফোটন, আলোর মৌলিক উপাদান। আলোর নির্গমন, শনাক্তকরণ, প্রেরণ, রূপান্তর ইত্যাদি নিয়ে পড়ানো হয় এই কোর্সে। এই নিয়ে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে পারো আবার গবেষণাও করতে পারো। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কোচির ইন্টরন্যাশনাল স্কুল অফ ফোটোনিক্স, ইউনিভর্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দিল্লি আইআইটি, মহারাষ্ট্রের লাটুরে রাজর্ষি শাহু মহাবিদ্যালয়, তিরুচিরাপল্লির পেরিয়ার ই ভি আর কলেজে পড়ানো হয়।

জেরন্টোলজি / বার্ধক্যবিদ্যা: বয়স বেড়ে যাওয়ার ফলে এক জন মানুষের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক কী কী পরিবর্তন ঘটে ও কী ভাবে এর খারাপ প্রভাবের বিষয়ে কার্ষকরী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে পড়াশোনা। এনজিওতে কাজ করা যায়। বৃদ্ধাশ্রমে কাজ মেলে। বেতনের দিক থেকে খুব বেশি হয়তো মিলবে না। কিন্তু মানসিক তৃপ্তি মিলবে।

এথিক্যাল হ্যাকিং: সাইবার সিকিউরিটি বা সাইবার ক্রাইমে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তারা এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কোডিং সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। বড় বড় কোম্পানিগুলি তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এথিক্যাল হ্যাকার নিয়োগ করে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ এথিক্যাল হ্যাকিং অনেকগুলো কোর্স করায়। ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি-র দিল্লি, মুম্বই, পুনে শাখায় পড়ানো হয়। এনআইআইটি-তেও এথিক্যাল হ্যাকিং-এর কোর্স করানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE