Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Cattle Smuggling

গরু পাচার: বিএসএফের সাহায্য চায় সিআইডি

২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে বিএসএফ কত গরু বাজেয়াপ্ত করেছিল এবং কতগুলি খোঁয়াড়ে তা রাখতে দিয়েছিল তা জানতে চায় সিআইডি।

এই রাজ্য থেকে প্রতিবেশি দেশে গরু পাচার সংক্রান্ত মূল মামলার তদন্তের ভার এখন সিবিআইয়ের হাতে।

এই রাজ্য থেকে প্রতিবেশি দেশে গরু পাচার সংক্রান্ত মূল মামলার তদন্তের ভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। প্রতীকী ছবি।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ০৭:০২
Share: Save:

গরু পাচারের তদন্তে নেমে পাচার-কাণ্ডের গোড়ায় পৌঁছতে এখন বিএসএফ বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাহায্য চাইছে সিআইডি।

২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে বিএসএফ কত গরু বাজেয়াপ্ত করেছিল এবং কতগুলি খোঁয়াড়ে তা রাখতে দিয়েছিল তা জানতে চায় সিআইডি। সূত্রের খবর, বিএসএফের তরফে তার কিছু উত্তর পাঠানো হয়েছে। বাকিটা দ্রুত বিএসএফের তরফে জানানো হবে বলে আশা করছেন সিআইডি-র অফিসারেরা।

এই রাজ্য থেকে প্রতিবেশি দেশে গরু পাচার সংক্রান্ত মূল মামলার তদন্তের ভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। পাচার কাণ্ডে টাকার লেনদেনের উৎস খুঁজতে সিবিআইয়ের সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও এই মামলার তদন্তে নেমেছে। মূলত সিবিআইয়ের তদন্তকে যাতে সিআইডি-র গরু পাচার সংক্রান্ত তদন্ত কোনও ভাবে ক্ষতি করতে না পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যে মামলাও হয়েছে। সিআইডি-র দাবি, সেই মামলা চললেও সামগ্রিকভাবে তাদের তদন্ত চালিয়ে যেতে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।

সিআইডি জানিয়েছে, ২০১৭ সালের অগষ্টে দেশের শীর্ষ আদালত একটি নির্দেশে জানায়, গরু বাজেয়াপ্ত করা হলে তা নিলাম করা যাবে না। বিভিন্ন খোঁয়াড়ে তা রেখে পরে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে তুলে দিতে হবে। এরপরেই বিএসএফ গরু নিলাম বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন খোঁয়াড়ে তা পাঠাতে শুরু করে।

সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ থেকে ২০১৯ - ওই তিন বছরে বিএসএফ কত গরু বাজেয়াপ্ত করে কোথায় কোথায় রেখেছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই গরু কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে যায়নি। তার আগেই গরুকে মৃত দেখিয়ে অথবা মাঝপথেই পাচার করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গরু পাচারে বিএসএফ কড়াকড়ি করতেই সিবিআইয়ের হাতে ধৃত এনামুল হকের নির্দেশে তার দুই সাগরেদ জিয়ারুল শেখ এবং আলম শেখ রাতারাতি বিভিন্ন নামে খোঁয়াড় খুলেছিল। অভিযোগ, নিলাম না হওয়া বাজেয়াপ্ত সেই গরু তারা নিজেদের খোঁয়াড়ে রেখে সেখান থেকেই পাচার করে দিত। জিয়ারুলকে সিআইডি গ্রেফতার করলেও তার ছোটবেলার বন্ধু আলম এখনও বেপাত্তা।

কত গরু পাচার হয়েছে তার পুরো চিত্র না পেলেও তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচারে কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলেছে এনামুল-ঘনিষ্ঠরা। সিআইডি-র দাবি, পাঁচটি সংস্থা খুলে ওই টাকা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং পশ্চিম এশিয়ায় বিনিয়োগ করেছে এনামুলের তিন ভাগ্নে জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবির ও মেহেদি হাসান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cattle Smuggling BSF CID
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE