Advertisement
E-Paper

এ বার তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট নিয়ে চিঠি সিবিআইয়ের

তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে চেয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে চিঠি দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কের হরিশ মুখার্জি রোডের শাখায় শাসক দলের অ্যাকাউন্ট আছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে সিবিআই জেনেছে, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আরও তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে। সেই লেনদেন সংক্রান্ত হিসেব চেয়েও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৫ ০২:৫১

তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে চেয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে চিঠি দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কের হরিশ মুখার্জি রোডের শাখায় শাসক দলের অ্যাকাউন্ট আছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে সিবিআই জেনেছে, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আরও তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে। সেই লেনদেন সংক্রান্ত হিসেব চেয়েও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে তৃণমূলের আয়-ব্যয়ের হিসেব চেয়েছিল সিবিআই। গত ৯ এপ্রিল তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে দলের ওই নথি জমা দিয়ে আসেন। সেই নথিতে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে গোড়াতেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন গোয়েন্দারা। পরে সিবিআই এক জন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে ওই হিসেব দেখানোর পরে সংশয় কিছুটা দৃঢ় হয়। তদন্তকারীদের একাংশ বলছেন, একই দিনে দু’কোটি টাকা অনুদান হিসেবে তৃণমূলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। তা-ও নগদে। এ ছাড়াও দু’লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা একাধিক বার নগদে জমা পড়েছে অ্যাকাউন্টে। কিন্তু সেই টাকা কারা জমা দিয়েছেন, তার কোনও তথ্য নেই। আয়কর-আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ভাবে লক্ষ-কোটি টাকা নগদে লেনদেন আইন ভাঙারই সামিল।

সিবিআই জানাচ্ছে, কারা ওই অনুদান দিয়েছিলেন তার খোঁজ পেতেই হরিশ মুখার্জি রোডের ওই শাখা-সহ চারটি ব্যাঙ্ককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ দিন হরিশ মুখার্জি রোডের ওই ব্যাঙ্কে গেলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাননি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও কিছু জানাতে চাননি। সিবিআই কর্তাদের বক্তব্য, কয়েকটি ক্ষেত্রে লেনদেনের অসংলগ্নতা আড়াল করতে নথির সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। কয়েকটি ক্ষেত্রে নথির সঙ্গে দেওয়া সঠিক প্রমাণপত্রও নেই। অনুদান, চাঁদা বাবদ-সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখন তাদেরই হদিস পেতে চায় সিবিআই।

তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনের অবশ্য বক্তব্য, তাঁদের দলের সমস্ত অ্যাকাউন্টেই স্বচ্ছতা রয়েছে। লুকোনোর কিছু নেই। এক বিবৃতিতে ডেরেক বলেছেন, ‘‘বড় দলগুলো আর তাদের নেতারা কোটি কোটি টাকা জমান। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ছোটদের। আমাদের প্রশ্ন করার আগে নিজেদের প্রশ্ন করুন। ভোটের প্রচারের বিপুল টাকা তো তোলা হয়েছিল দিনে ডাকাতি করে।’’

সারদা তদন্তে সিবিআইয়ের প্রকাশ্য তৎপরতা কিছুটা থিতিয়ে আসার পর তৃণমূল-বিজেপি নয়া রসায়ন দেখেছিলেন বিরোধীরা। ডেরেকের তির কার দিকে? প্রশ্ন সেটাই।

CBI bank money saradha scam Derek o'brien trinamool tmc mamata bandopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy