কেন্দ্র চায়, রাজ্য সরকার শিক্ষার বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়াক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীন স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব অনিল স্বরূপ চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন। জবাবে নবান্ন জানিয়ে দিল, এমন পরামর্শ দেওয়ার আগে কেন্দ্র জবাব দিক, রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ না-করেই তারা বরাদ্দ কমিয়ে দিল কেন। রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া টাকা কেন্দ্র যাতে শীঘ্র মিটিয়ে দেয়, সেই দাবিও জানিয়েছে রাজ্য।
চিঠিতে অনিল লেখেন, চতুর্দশ আর্থিক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের প্রাপ্য করের পরিমাণ ৩২% থেকে বেড়ে ৪২% হয়েছে। তাই বিভিন্ন খাতে রাজ্যের বরাদ্দ বৃদ্ধির সুযোগ এসেছে। সর্বশিক্ষা অভিযান, রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান এবং মিড-ডে মিল প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াক রাজ্য।
রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের বক্তব্য, রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই কেন্দ্র হঠাৎ ওই সব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়েছে। এতে রাজ্যের তহবিলের উপরে চাপ পড়েছে।
নবান্নের খবর, চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ রূপায়ণের আগে পর্যন্ত স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রকল্পে কেন্দ্র ৭৫% অর্থ দিত। তা কমে হয়েছে ৬০%। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বরাদ্দ কমায় শুধু মিড-ডে মিল প্রকল্পেই রাজ্যের খরচ প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বেড়ে গিয়েছে। তিনটি প্রকল্প মিলিয়ে যার পরিমাণ ৫০০ কোটি।’’ নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, গত আর্থিক বছরের বকেয়া অর্থ পুরো দেয়নি কেন্দ্র। মুখ্যসচিব চিঠি দিয়ে আগে সেই বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলেছেন।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘কেন্দ্রই তো শিক্ষায় বরাদ্দ কমাচ্ছে। তাই তাদের এমন পরামর্শ দেওয়ার নৈতিক অধিকার নেই। শিক্ষানীতির প্রশ্নে অবশ্য কেন্দ্র ও রাজ্য সমান।’’ এবিটিএ-র কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, দুই সরকারই সমান। এক পক্ষ শিক্ষায় ‘সাম্প্রদায়িকীকরণ’-এ মেতেছে। অন্য দল শিক্ষায় ‘দুর্বৃত্তায়ন’ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy