E-Paper

রাজ্য স্বাস্থ্য মিশনের শর্ত পূরণ করেনি, ফের দাবি

কেন্দ্রের দাবি, গত এপ্রিলেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে রাজ্যকে জানানো হয়েছিল, চুক্তি মোতাবেক জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের সমস্ত শর্ত পূরণ করতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৯
swasthya bhavan.

স্বাস্থ্য ভবন। —ফাইল চিত্র।

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, অভিযোগ রাজ্যের। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে, সেই টাকা পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেই চিঠির উল্লেখ করে পুনরায় কেন্দ্রের দাবি, বরাদ্দ পেতে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের যে শর্তাবলি পূরণ করতে হয়, তা রাজ্য করেনি। এই অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্যের মন্ত্রী-কর্তাদের দাবি, তুচ্ছ কিছু বিষয়কে শর্ত হিসেবে তুলে ধরে এ ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে ব্যাহত করা অন্যায়।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য রাজ্যের বিষয়। সেটা নিয়ে এত টালবাহানা কীসের। কেন্দ্র ৬০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে মানে সব তার এক্তিয়ারে নয়। তা হলে সংবিধান বদলে স্বাস্থ্য নিজেদের বিষয়ে নিয়ে নিক। কার টাকা কে আটকাচ্ছে? কেন্দ্রের যুক্তির কোনও ভিত্তি নেই।’’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন কার্যকর করতে পশ্চিমবঙ্গ এবং কেন্দ্রের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। ‘ডিপার্টমেন্ট অব এক্সপেনডিচার’-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বরাদ্দ বাধাহীন রাখার জন্য চুক্তির শর্ত রাজ্যকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কেন্দ্রের দাবি, অনেকগুলি বৈঠক এবং মনে করানো সত্ত্বেও আয়ুষ্মান ভারত-হেল‌্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার ব্র্যান্ডিংয়ের নির্দেশিকা মানেনি রাজ্য। উল্টে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের ভবনগুলির রং নীল-সাদা করা হয়েছে। পাশাপাশি, আয়ুষ্মান সেন্টারের নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ লেখা হয়েছে।

কেন্দ্রের দাবি, গত এপ্রিলেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে রাজ্যকে জানানো হয়েছিল, চুক্তি মোতাবেক জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের সমস্ত শর্ত পূরণ করতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। কেন্দ্রের দাবি, বারবার চিঠি পাঠানো ও বৈঠক হলেও রাজ্য শর্ত পূরণ করেনি। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ২০১১ থেকে তৈরি প্রায় ১১ হাজার হেল‌্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার সেই সময় থেকে রাজ্যের রং-ব্র্যান্ডিং মেনে তৈরি করা হয়েছিল। বাকি সব শর্ত মানার পরেও শুধু মাত্র রংভিত্তিক ব্র্যান্ডিংয়ের প্রশ্ন তুলে টাকা আটকে দিয়েছে।

চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য পরিষেবাতে দেশে আমরা দ্বিতীয় স্থানে। আর রঙের উপরে কি পরিষেবা নির্ভর করে? রঙ তো করা আছে, তার উপর আবার রঙ করতে হবে, কেন?’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Central Government

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy