Advertisement
০৪ মে ২০২৪
কল্যাণী পুরসভা

আইনি জটে আটকে শপথ

আইনি জটে নদিয়ার কল্যাণীর পুরপ্রধান পদে শপথ নিতে পারলেন না নীলিমেশ রায়চৌধুরী। সোমবার তাঁর শপথ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত হয়ে যায়। গত ১২ এপ্রিল কল্যাণীর বিদ্যাসাগর মঞ্চে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সভা করে হরিণঘাটা বাদে জেলার ৬টি পুরসভার পুরপ্রধান ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কল্যাণীতে পুরপ্রধান মনোনীত হন নীলিমেশ। এ দিন ছিল শপথগ্রহণ। তার আগেই তৈরি হয় জট। কেমন?

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৫ ০৩:৩৪
Share: Save:

আইনি জটে নদিয়ার কল্যাণীর পুরপ্রধান পদে শপথ নিতে পারলেন না নীলিমেশ রায়চৌধুরী। সোমবার তাঁর শপথ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত হয়ে যায়।
গত ১২ এপ্রিল কল্যাণীর বিদ্যাসাগর মঞ্চে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সভা করে হরিণঘাটা বাদে জেলার ৬টি পুরসভার পুরপ্রধান ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কল্যাণীতে পুরপ্রধান মনোনীত হন নীলিমেশ। এ দিন ছিল শপথগ্রহণ। তার আগেই তৈরি হয় জট। কেমন?

প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ২১ আসন বিশিষ্ট পুরসভায় ১৩ জন তফসিলি জাতি এবং ২ জন তফসিলি উপজাতির সদস্য রয়েছেন। যেহেতু অর্ধেকেরও বেশি আসনে তফসিলি জনজাতির সদস্যেরা জিতেছেন, তাই পুরপ্রধান বাছতে হবে সেই জনজাতির মধ্যে থেকেই। নিয়ম তেমনটাই। গোলটাও সেখানেই। তফসিলি জনজাতির কাউন্সিলরেরা সকলেই চাইছেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নীলিমেশবাবুই ফের পুরপ্রধান হোন। নেতৃত্বেরও তাই মত। এ বিষয়ে কাউন্সিলরেররা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদনও জানিয়েছেন। কিন্তু, তার উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত নীলিমেশবাবুর শপথগ্রহণ ঝুলে রইল। ভাবী পুরপ্রধান নিলিমেশবাবু বলেন, ‘‘নিয়মের ফেরেই এই অবস্থা। কাউন্সিলরদের মত আমার পক্ষেই রয়েছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানার পরে ওই পদে শপথ নেব।’’

এ দিন সকাল এগারোটায় নদিয়া জেলার কল্যাণীর ঋত্বিক সদনে কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কল্যাণীর মহকুমাশাসক স্বপন কুণ্ডু কাউন্সিলরদের সকলকে শপথ পাঠ করিয়েছেন। কাউন্সিলর সুশীলকুমার তালুকদার, বলরাম মাঝি, লক্ষ্মী ওরাও, কল্যাণ দাসেরা বলেন, ‘‘নীলিমেশবাবু শহরের উন্নয়ন করেছেন। সে কারণেই আমরা তাঁর পক্ষে রয়েছি। আমার আগামী দিনেও তাঁর পাশে থাকব’’ এরই মাঝে এক তৃণমূল কর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কাউন্সিলররা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সহজ সরল ভাবে কথাগুলো বলছেন। বাস্তবটা মোটেও তা নয়। ওঁদের মধ্যে অনেকেই পুরপ্রধান হওয়ার যোগ্য। দলের চাপে এ সব কথা বলছেন।’’ এ দিনের প্রশাসনিক সভা শেষে দলীয় সভা হয়। সেখানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, কল্যাণীর বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, কল্যাণী শহর তৃণমূলের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যেরা।

এ দিন গয়েশপুর পুরসভায় জয়ী তৃণমূলের ১৮ জন কাউন্সিলরকেও শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। সর্বসম্মতিতে গরেশপুরে পুরপ্রধান হয়েছেন মরণকুমার দে। মরণবাবুর শপথ, ‘‘পাঁচ বছর পুরসভা থেকে কোনও বেতন নেব না। তিনি শহরের পরিবহণ, নিকাশি, পানীয় জলের সমস্যায় জোর দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE