‘আলোর শহর’ চন্দননগরে এ বার জগদ্ধাত্রীর ভাসান বাহারি আলোকে সরিয়ে রেখেই। কিন্তু রাজ্যের যে আর এক শহরে জগদ্ধাত্রী পুজোই প্রধান উৎসব, নদিয়ার সেই কৃষ্ণনগরে সাঙে (বেহারাদের কাঁধে) বিসর্জনের দাবি নিয়ে টানাপড়েন চলল শেষ পর্যন্ত। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আজ, মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরের বিসর্জনে কোনও সাং বেরচ্ছে না।
কথিত যে, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি থেকেই জগদ্ধাত্রী পুজো পৌঁছেছিল ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে তদানীন্তন ফরাসডাঙায় (এখন চন্দননগর)। তবে হুগলির এই শহরে পুজো চার দিনের, সেখানে কৃষ্ণনগরে এক দিনের পুজো। গোড়া থেকেই করোনা সুরক্ষা বিধি মানার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে এসেছে চন্দননগর। সোমবার কৃষ্ণনগরেও পুষ্পাঞ্জলি থেকে ঠাকুর দেখা, সব কিছুতেই নাগরিকদের সুরক্ষা বিধি মেনে চলা এবং ভিড় না করার প্রবণতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিন্তু সাঙে বিসর্জনই ‘ঐতিহ্য’ দাবি করে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দাদের একাংশ গোঁ ধরে বসেছিলেন। এঁদের মতো তরুণ প্রজন্মই সংখ্যাগুরু, যাঁদের চাপে বারোয়ারি কর্মকর্তারাও শোভাযাত্রা না করার বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করতে উদ্যত হয়েছিলেন। রবিবার সকালে এই নিয়ে প্রশাসনের ডাকা বৈঠক ভেস্তে দিয়ে বেরিয়েও যান তাঁরা। কিন্তু বিকেল থেকে হাওয়া ঘুরে যেতে শুরু করে। পুলিশের তরফে বারোয়ারি কর্মকর্তাদের ডেকে আলাদা আলাদা করে কথা বলা হতে থাকে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে, ,তা জানিয়ে দেওয়া হয়।