সভার প্রস্তুতি দেখতে গৌতম দেব। ছবি: রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত সফরের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল হলদিবাড়িতে। বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব হলদিবাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল এবং প্রশাসনিক সভার জায়গা ঘুরে দেখেন। হলদিবাড়ির রবীন্দ্রভবন এবং পিভিএন লাইব্রেরিতেও গৌতমবাবু গিয়েছিলেন।
হলদিবাড়িতে একটি সরকারি অনুষ্ঠান এবং প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী হলদিবাড়ি আসবেন। সভার পরে জলপাইগুড়িতে আরেকটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। দুপুরে বাগডোগরাতেও একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু। হলদিবাড়ি এবং জলপাইগুড়ির সভা সেরে পরদিনই দার্জিলিং পৌঁছোনোর কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সফর সেরে আগামী ৭ অগস্ট তিনি কলকাতা ফিরতে পারেন।
হলদিবাড়ির সঙ্গে মেখলিগঞ্জের সরাসরি যোগাযোগে তিস্তা নদীর ওপর সেতু তৈরির শিলান্যাস করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এ ব্যাপারে গৌতম দেব সরাসরি কিছু না বললেও এলাকার সংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই মাঠে তিস্তা সেতুর শিলান্যাস করবেন। পরে ফলকটি বেলতলিতে সেতু তৈরির সম্ভাব্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে বসানো হবে।” মুখ্যমন্ত্রী হুজুর সাহেবের মাজারেও যেতে পারেন।
এ দিন সকালে হলদিবাড়ি পৌঁছে মন্ত্রী গৌতমবাবু সরাসরি হলদিবাড়ি বিডিও অফিসে যান।
তার আগেই হলদিবাড়ি বিডিও অফিসে চলে আসেন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন, তুফানগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরা সকলে মিলে হুজুর সাহেবের মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠে মহিলাদের থাকার জন্য ১০০ মিটার লম্বা এবং ২০ মিটার চওড়া শেডঘর তৈরি হচ্ছে। সেই ঘরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করবেন বলে আপাতত স্থির হয়েছে। সেখানে অন্তত ২০০ জন আধিকারিক সহ অন্যান্যরা যাতে বসে সভা করতে পারেন তার ব্যবস্থা রাখার জন্য গৌতমবাবু নির্দেশ দিয়েছেন। শেডঘরটির কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
সেখান থেকে তিনি হলদিবাড়ি রবীন্দ্রভবন এবং পিভিএন লাইব্রেরি পরিদর্শনে যান। রবীন্দ্রভবন ঘুরে দেখেন। পিভিএন লাইব্রেরির ভেতরের বইএর সেল্ফগুলি ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, “এই লাইব্রেরিটিকে যাতে অবিলম্বে টাউন লাইব্রেরিতে উন্নীত করা যায় সেই চেষ্টা করব।”
হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তরুন দত্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এসে সেতুর শিলান্যাস করবেন। এটা আমাদের বিরাট প্রাপ্তি। উনি হলদিবাড়িতে এই প্রথম একটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।’’ হলদিবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, “আমরা চাই হলদিবাড়িতে কিষান মান্ডি অবিলম্বে চালু করা হোক। হলদিবাড়ি হাসপাতালকে অবিলম্বে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy