Advertisement
০৩ মে ২০২৪

গোয়েন্দারা দার্জিলিঙে পৌঁছলেও শুরু করা যায়নি তদন্তের কাজ

পাঁচ দিন আগে এই ঘটনায় সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু এই পাঁচ দিনের মধ্যে তারা কেস ডায়েরি তো হাতে পায়নিই, এমনকী এক জন সাধারণ সাক্ষীর সঙ্গেও কথা বলে উঠতে পারেনি।

সুরবেক বিশ্বাস
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৪:৩০
Share: Save:

মোর্চার বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে গত ১৭ জুন রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দার্জিলিঙের সিংমারি। গুলিতে মৃত্যু হয় মোর্চার তিন সমর্থকের। পাঁচ দিন আগে এই ঘটনায় সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু এই পাঁচ দিনের মধ্যে তারা কেস ডায়েরি তো হাতে পায়নিই, এমনকী এক জন সাধারণ সাক্ষীর সঙ্গেও কথা বলে উঠতে পারেনি। ফলে গোয়েন্দারা দার্জিলিঙে পৌঁছে খোঁজখবর শুরু করলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরুই করা যায়নি তদন্তের কাজ।

এর মধ্যে আবার ৮ জুন ভানুভবনে হাঙ্গামার তদন্তের দায়িত্বও সবে শনিবার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে। কিন্তু সিংমারির তদন্তই এখন বেশি ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। কারণ, সে দিন তিন মোর্চা সমর্থকের মৃত্যু ছাড়াও পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সিআইডি-র একটি দল এর মধ্যেই দার্জিলিং পৌঁছয়। তাঁরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। কথা বলেন পুলিশের কয়েক জন আধিকারিকের সঙ্গেও।

আরও খবর
ভারতে জঙ্গি হামলা চালিয়েছি, স্বীকারোক্তি জঙ্গি সালাউদ্দিনের

কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ খুব বেশি পাননি গোয়েন্দারা। সে দিন স্থানীয়রা ছাড়াও এলাকায় হাজির ছিল দেড়শোরও বেশি পুলিশ। তাঁদের মধ্যে জনা পনেরোর সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। বাকিরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। সিআইডি-র এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘যা পরিস্থিতি, তদন্তের জন্য তাঁদের সবাইকে ডেকে পাঠানো সম্ভব না। প্রত্যেকের কাছে গোয়েন্দারা এখন পৌঁছতেও পারবেন না।’’ যে সিআরপি জওয়ানরা সে দিন ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে সব থেকে মুশকিল হয়েছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে। যে কোনও ফৌজদারি মামলায় নিরপেক্ষ সাক্ষী হিসেবে সাধারণ মানুষের সাক্ষ্যের গুরুত্ব পুলিশের সাক্ষ্যের থেকে বেশি। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, একে তো পাহাড়ে তাঁরা যত্রতত্র যেতে পারছেন না। তার উপরে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও ঘৃণা কাজ করছে এখনও। ফলে কে কী প্রতিক্রিয়া দেবেন বা আদৌ দেবেন কি না, তাই নিয়ে চিন্তা রয়েছে। আবার ভয়ে কেউ কেউ সাক্ষ্যদান এড়িয়ে যেতে পারেন, এমন আশঙ্কাও থাকছে। এর মধ্যে রোজ কিছু না কিছু অশান্তি লেগেই রয়েছে। সিআইডি কর্তাটির দাবি, ‘‘প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও যতটা তদন্ত সম্ভব, সেটাই করা হচ্ছে।’’

তবে কবে যে তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন, তা নিয়ে এই মুহূর্তে সংশয়ের পাহাড়ে বসে আছেন গোয়েন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE