আদালতে একদা নিষিদ্ধ মোবাইল ফোন এখন বিচার প্রক্রিয়ায় শুধু অনুমোদিতই নয়, অনেক মামলায় অপরিহার্যও বটে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ও অপরিসীম শক্তিকে হাতিয়ার করে বিচার ব্যবস্থার সুফল আমজনতার আরও কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়ার কথা বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়।
প্রধান বিচারপতি বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের নতুন প্রশাসনিক ভবন এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন-সহ ই-পরিষেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব, বিচারপতি টি শিবঘ্ননম এবং অন্য বিচারপতিরাও। এ দিনের অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান বিচারপতি জানান, এক সময় এজলাসে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এজলাসে এখন মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাডের ব্যবহার অনুমোদিত। এ বার থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারপতিরা যাতে জেলা আদালত ‘পরিদর্শন’ করেন, সেই পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
দেশ জুড়ে ই-কোর্ট প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায় শুরু হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, এই প্রকল্পে আর্থিক সমস্যা নেই। তাই পরিকল্পনা করতে হবে নিখুঁত ভাবে। সাধারণ মানুষ যাতে কোর্টের রায় অনায়াসে বুঝতে পারেন, সেই জন্য সুপ্রিম কোর্টে রায়ের প্রতিলিপি সব ভারতীয় ভাষায় অনুবাদের কাজ চলছে। কলকাতা হাই কোর্টও যাতে একই পথে হাঁটে, এ দিন সেই ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। কলকাতা হাই কোর্টের নতুন ন’তলা প্রশাসনিক ভবন তৈরির ফলে বিচার ব্যবস্থার কাজে সুবিধা হবে বলে জানান তিনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)