Advertisement
০৩ মে ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রীর সফর, বাড়তি টাকার দাবি

সফর ঘিরে সাজো সাজো রব অরণ্য শহরে। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য অতিথিদের থাকার জন্য প্রস্তুতিও সারা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের পূর্ত বিভাগকে এক কোটি টাকার মধ্যে যাবতীয় আয়োজন করতে বলেছিল রাজ্যের পূর্ত দফতর।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

বরুণ দে
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪৭
Share: Save:

জেলা গঠনের পর প্রথমবার সোমবার ঝাড়গ্রামে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিনের সফরে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঝাড়গ্রামে এসেছেন সরকারি আধিকারিকরাও। সফর ঘিরে সাজো সাজো রব অরণ্য শহরে। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য অতিথিদের থাকার জন্য প্রস্তুতিও সারা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের পূর্ত বিভাগকে এক কোটি টাকার মধ্যে যাবতীয় আয়োজন করতে বলেছিল রাজ্যের পূর্ত দফতর। যদিও গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রামের পূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, এক কোটি টাকার মধ্যে সব কিছু আয়োজন সম্ভব নয়। অতিথিদের আপ্যায়ন, একাধিক কর্মসূচির জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজে প্রায় ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “শুধু পূর্ত বিভাগের খরচ ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। অন্য খরচও রয়েছে।”

এ বারের সফরে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে থাকছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আসা অন্য অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে বাঁদরভুলা প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রে। কলকাতা থেকে গাড়িতে এলেও হেলিকপ্টারেই ফেরার কথা তাঁর। সে জন্য পুকুরিয়ার রাজপাড়া ও কাশিয়া ফুটবল মাঠে তৈরি করা হয়েছে দু’টি হেলিপ্যাডও। প্রথমে আজ, মঙ্গলবার দুপুরে এসপি অফিসের সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মমতা। বিকেলে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে পুলিশের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ মাঠে প্রশাসনিক জনসভাতেও উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম ও রাজ কলেজের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির জন্য তৈরি হয়েছে মঞ্চ।

জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার, পরিবহণ ও তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের কাছেই ৩০ লক্ষ টাকা করে চেয়েছিল জেলা। পূর্ত দফতরের হিসেব, শুধু জনসভা আয়োজনেই খরচ হচ্ছে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য ৫ লক্ষ টাকা, মুখ্যমন্ত্রী এবং পদস্থ প্রশাসনিক কর্তাদের থাকার আয়োজন করতে ৩০ লক্ষ টাকা, অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরিতে ৫ লক্ষ টাকা, স্বাগত তোরণ তৈরি, পার্কিংয়ের ব্যবস্থায় ২০ লক্ষ খরচ হবে। প্রশাসনিক জনসভার মঞ্চ এবং ছাউনি হবে ১ লক্ষ ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে। ৩২টি স্টল হবে ৪,৮০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনেও খরচ হবে ভালই।

পূর্ত দফতরের ক্ষেত্রে সব আয়োজনের প্রাথমিক যে খরচ ধরা হয়েছিল, পরে কি তারও বেশি খরচ হয়েছে? ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুনের জবাব, ‘‘আমি এ ব্যাপারে কিছু শুনিনি। কোনও মন্তব্য করব না।’’ আর রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী তথা তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি চূড়ামণি মাহাতো বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় গিয়ে সভা করছেন, উন্নয়ন করছেন। অনেক আয়োজন। কিছু খরচ তো হবেই। ’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE