ছবি: সংগৃহীত
গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের কিছু এলাকায় ডেঙ্গি-সহ পতঙ্গবাহিত কিছু রোগ ধরা পড়েছে। রাজ্য সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণও করে ফেলেছে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে চিঠি লিখে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কত এলাকায় কত মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যাই বা কত, সে সব কোনও পরিসংখ্যান অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে দেননি। তবে এই জমানায় এ বারই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে জবাব পেলেন বিরোধী দলনেতা!
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতা ডেঙ্গি নিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে কত মানুষ আক্রান্ত, অন্যান্য জায়গা থেকে উদ্বিগ্ন মানুষ কী ভাবে চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করছেন, সবই উল্লেখ করা হয়েছিল চিঠিতে। মান্নানের অভিযোগ ছিল, রাজ্য সরকারের চাপে চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসাও মিলছে না। গত সপ্তাহেই সেই চিঠির উত্তর পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডেঙ্গির পরীক্ষা-সহ সব রকমের চিকিৎসার বন্দোবস্ত নিখরচায় সরকারি হাসপাতালে করা হয়েছে। কিন্তু রোগের ভয়াবহতার কোনও তথ্য মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করছেন না বলে অভিযোগ করে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ডেঙ্গির মতো অসুখ মোকাবিলায় প্রশাসন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করে চলেছে। রাজ্যের ৯০টি পুরসভা এলাকায় গত মে মাস থেকেই ১৫ দিন অন্তর বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আধা-শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে ধরে নিয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বৃষ্টির পরে এবং শীত পড়ার মুখে এই ধরনের ভাইরাল জ্বর সারা দেশেই হয়ে থাকে বলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। তাই পশ্চিমবঙ্গও ব্যতিক্রম নয়।
চিঠির জবাব পাওয়া ব্যতিক্রমী ঘটনা বলে মেনে নিয়েও মান্নান সোমবার বলেছেন, ‘‘কী ভাবে ডেঙ্গি মহামারী হয়ে উঠেছে, কী ভাবে মানুষ মারা যাচ্ছেন, তার কোনও কিছুই মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করছেন না। রাজ্য সরকার রোগের তথ্য ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত! এই রকম চললে প্রয়োজনে ডেঙ্গি নিয়েই আমরা বিধানসভায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারি।’’ ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ২ নভেম্বর রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস। পর দিন কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিল হবে। কলকাতা পুরসভায় এ দিনও কংগ্রেসের বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, আখরুজ্জামানেরা।
ডেঙ্গির বিপদ স্বীকার করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মোকাবিলায় নামার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি অবশ্য জবাব পাননি। কেন্দ্রের সক্রিয়তার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডাকে চিঠি দিতে পারেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy