E-Paper

ভাঙড়ে কলেজে পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই

গোটা পঞ্চায়েত ভোট-পর্বে উত্তপ্ত ভাঙড়ে এই পরীক্ষা আদৌ হবে কি না, তা নিয়েই সংশয় ছিল। শনিবার দেখা গেল, রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৬:৪২
bhangar.

ভাঙড় কলেজে শনিবার পরীক্ষা দিতে ঢুকছেন পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।

আতঙ্ক, উদ্বেগ কাটিয়ে পরীক্ষা দিতে এলেন ছাত্রছাত্রীরা।

শনিবার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ে শুরু হল স্নাতকস্তরের ফাইনাল সিমেস্টারের পরীক্ষা। সেখানে সিট পড়েছে জীবনতলার বেগম রোকেয়া কলেজ ও সুশীল কর কলেজের প্রায় ১২০০ ছাত্রছাত্রীর। গোটা পঞ্চায়েত ভোট-পর্বে উত্তপ্ত ভাঙড়ে এই পরীক্ষা আদৌ হবে কি না, তা নিয়েই সংশয় ছিল। শনিবার দেখা গেল, রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে। গ্রামে চলছে বাহিনীর রুটমার্চ। কলেজেও ছিল আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাস-অটো-টোটোয় যাত্রী কম থাকলেও সবই চলেছে। দোকানপাটও খোলা ছিল অন্য দিনের মতো। পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়নি।

চম্পাহাটির বাসিন্দা যূথিকা নস্করের মেয়ের পরীক্ষার সিট পড়েছিল ভাঙড় কলেজে। তিনি বলেন, ‘‘খুবই চিন্তায় ছিলাম। তবে এখানে এসে দেখছি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট ভাল। কোনও সমস্যা চোখে পড়ল না।’’ কলেজের শিক্ষক তথা পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরুপম আচার্য বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে একটা সমস্যা চলছে। ছাত্রছাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য পুলিশি ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিয়েছেন।’’

এরই মধ্যে শনিবার ভাঙড়ের কাশীপুর থানার নিমকুড়িয়া ঘোলপুকুরে পাটখেত থেকে গোটা পঁচিশ বোমা উদ্ধার হয়েছে। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে আইএসএফ এখনও বোমা তৈরি করছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘‘সব কিছুতেই আইএসএফের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও তৃণমূল এক সঙ্গে মিলিত ভাবে সব কিছু করছে।’’

১৪৪ ধারা জারি থাকায় শুক্রবার বিধায়ক নওসাদকে পুলিশ ভাঙড়ে ঢুকতে দেয়নি। শনিবার নওসাদ ফের আসবেন বলেছিলেন। তবে এ দিন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। এ দিনই ভাঙড় ১ ব্লকের জাগুলগাছি পঞ্চায়েতের কাছে তালেব মোল্লার মোড়ে একটি ভাড়া বাড়িতে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় হাজির ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা। সওকাত ভাঙড়ের বাসিন্দা নন, ভোটারও নন। তা হলে? ভাঙড়-১ বিডিও দীপ্যমান মজুমদার বলেন, ‘‘বৈঠকের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’ সওকাতের যুক্তি, ‘‘যা কিছু গন্ডগোল হচ্ছে কাশীপুর থানা এলাকায়। ভাঙড় থানা এলাকায় কোনও গন্ডগোল নেই। আমি যত দূর জানি, এখানে ১৪৪ ধারা নেই।’’ বিডিও অবশ্য জানান, ভাঙড় ১ ব্লক এলাকায় ১৪৪ জারি আছে। এ নিয়ে নওসাদের কটাক্ষ, ‘‘১৪৪ জারি করা হয়েছে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করার জন্য। শাসকের সাত খুন মাফ!’’ রবিবার তিনি ভাঙড়ে ঢুকবেন বলে জানিয়েছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bhangar Exam College

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy