প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি ধরা পড়লে বিশেষ হোমিওপ্যাথি ওষুধের কোর্স। ১০ সপ্তাহে সেরে উঠবেন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আয়ুষ মন্ত্রকের এই প্রচারবার্তা ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমালোচনায় সরব হয়েছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরাই।
হোমিওপ্যাথদের মতে, ডেঙ্গি চিকিৎসায় ওই বিশেষ ওষুধের সাফল্যের মাত্রা সম্পর্কে সেন্ট্রাল কাউন্সিল রিসার্চ অব হোমিওপ্যাথি (সিসিআরএইচ)-র কাছেই প্রমাণ নেই। বরং, এই ওষুধে জ্বর কমলেও বমি, হাতে-পায়ে যন্ত্রণার ঝুঁকি রয়েছে। বছর খানেক আগেও এই ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়েছিল। তখন কেন্দ্রকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরা জানান, ওষুধ দেওয়ার আগে তা নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি। অভিযোগ, সেই কাজ কতটা এগিয়েছে, সিসিআরএইচ কিছুই জানায়নি।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘অল বেঙ্গল হোমিওপ্যাথি ডক্টর্স ফোরাম’-এর সদস্য চিকিৎসক কাজি মোহিত বলেন, ‘‘আয়ুষ মন্ত্রকের উল্লেখ করা ওই ওষুধের সাফল্যের হারের নির্দিষ্ট তথ্য নেই। এদিকে রোগীর সমস্যা বাড়লে কেন্দ্রের তরফে প্যারাসিটামল দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরা প্যারাসিটামলের উপাদান জানেন না। তাহলে কী ভাবে সেই ওষুধ তাঁরা দেবেন! এটা তো ক্রসপ্যাথির মতো অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।’’
মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম ঘোষ বলেন, ‘‘জ্বর পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ জরুরি। সেই কাজ বিকল্প ধারার চিকিৎসায় কি সম্ভব! তাছাড়া, প্যারাসিটামল ছাড়া ডেঙ্গি আক্রান্তকে অন্য কোনও ওষুধ দিলে কী প্রতিক্রিয়া হবে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’’
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সদস্য, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার সম্পাদক চিকিৎসক শান্তনু সেনের কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে এ দেশের বড় অংশের মানুষ সচেতন নন। আর আয়ুষ মন্ত্রক একের পর এক ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করছে।’’ আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে সরাসরি জবাব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এক আধিকারিক শুধু দাবি করেন, যে ওষুধের নাম লেখা হয়েছে, তা ডেঙ্গি সারানোয় ভাল কাজ দিয়েছে। আর অ্যালোপ্যাথি ছাড়াও যে অন্য ওষুধ আছে, তা প্রচার করতে এই উদ্যোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy