এখনও মহারাষ্ট্র বা দিল্লির মতো পরিস্থিতি হয়নি রাজ্যে। কিন্তু জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা যে ভাবে হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে এখানে, তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। গত ২৩ জুনের পর থেকে, এ রাজ্যে কোভিড টেস্টের তুলনায় পজিটিভ কেসের দৈনিক অনুপাতও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। এবং তা দেশের গড় অনুপাতের থেকে বেশি। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে রাজ্যের সব কনটেনমেন্ট জোনে নতুন করে কড়াকড়ি চালু হয়েছে। চিকিৎসক মহলের উদ্বেগ, তা দিয়ে পরিস্থিতি সামলানো না গেলে, ভয়ঙ্কর দিকে এগিয়ে যেতে পারে রাজ্যের কোভিড সংক্রমণ।
শুক্রবার, ১০ জুলাই, গোটা দেশে মোট কোভিড-১৯ টেস্টের মধ্যে ৯.৩৪ শতাংশ মানুষের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। এ রাজ্যে তা ১১.২৬ শতাংশ। একমাস আগেও কিন্তু ছবিটা এমন উদ্বেগজনক ছিল না। গত ১০ জুন রাজ্যে কোভিড-১৯ টেস্ট হয়েছিল ৯৫১৯ জনের। তাঁদের মধ্যে ৩.৬ শতাংশের (৩৪৩ জনের) কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। তার পর থেকে ৯ থেকে ১০ হাজারের আশপাশেই প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা হয়েছে রাজ্যে। ২৫ জুনের আগে পর্যন্ত দৈনিক টেস্টের ৫ শতাংশের মধ্যেই মূলত ঘোরাফেরা করছিল পজিটিভ কেসের সংখ্যা।
কিন্তু চিত্রটা বদলে যায় ২৫ জুনের পর। দৈনিক কোভিড-১৯ টেস্টের সংখ্যা খুব একটা বদলায়নি। কিন্তু উদ্বেগজনক ভাবে করোনা পডিটিভের আনুপাতিক হার বেড়ে চলেছে। ২৫ জুন এই হার ছিল ৫ শতাংশ। ২৯ জুন তা চলে যায় সাড়ে ৬ শতাংশের উপরে। ৫ জুলাই ৮ শতাংশের উপর। ৬ জুলাই একটু কমলেও, ৭ জুলাই তা ৮.৪-এ পৌঁছে যায়। ৮ জুলাই ৯.৫।