আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে বহরমপুর পুরসভার তৃণমূলের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্যের এখন ‘উদ্বাস্তু দশা’। পুরসভার বিরোধী দলনেতা, তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান কংগ্রেসের মইনুদ্দিন চৌধুরী ওরফে বাবলারও ‘ছিন্নমূল’ অবস্থা বলে দলীয় কর্মীরা চিমটি কাটছেন।
৪০ বছরের কাউন্সিলর এবং ১৮ বছরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য টানা ৯ বার পুরভোটে লড়াই করেছেন ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। গত বারের আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে ১১ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত হয়েছিল। ফলে তিনি ২০১৩ সালের পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন পাশের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। গত বুধবার আসন পুনর্বিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায় সেই ১১ নম্বর ওয়ার্ডটি আবার মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডটিও তপসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে আসন্ন পুরভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করতে হলে তাঁর হাতের তালুর মতো অতি পরিচিত ১০ নম্বর ওয়ার্ড ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড বাদ দিয়ে নতুন কোনও ওয়ার্ডের সন্ধান করতে হবে পুরপ্রধানকে।
একই ভাবে মইনুদ্দিন চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকা, অর্থাৎ ২৬ নম্বর ওয়ার্ডটিও আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে এ বার মহিলার জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘কেবল ১০ নম্বর ওয়ার্ড ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডই নয়, সারা শহরটাই আমার হাতের তালুর মতো চেনা। ফলে দল যেখানে আমাকে প্রার্থী করবে সেখান থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমার কোনও আপত্তি থাকবে না।’’ মইনুদ্দিন চৌধুরীরও প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, ‘‘২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাশেই আছে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড। দল আমকে মনোনীত করলে পাশের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও প্রতিদ্বন্দিতা করতে কোনও অসুবিধা হবে না।’’
বর্তমান উপ-পুরপ্রধান জয়ন্ত প্রামানিকের বর্তমান নির্বাচনী এলাকা, তথা ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আসন পুর্নবিন্যাসের পরও গত বারের মতো সাধারণ আসন হিসাবে রয়েছে। ফলে দল তাঁকে প্রার্থী করলে এ বারও তিনি ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক বলে জানা গিয়েছে।
পুরপ্রধানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বলে প্রচারিত তৃণমূলের কাউন্সিলর কাঞ্চন মৈত্রের নির্বাচনী এলাকা, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এ বার আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তার ফলে আসন্ন পুরভোটে কাঞ্চন মৈত্র তৃণমূলের ‘টিকিট’ পাবেন কিনা তা কোটি টাকার প্রশ্ন বলে দলের অভ্যন্ত গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ২০১৩ সালের নির্বাচনের সময় তপসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল ৪টি আসন। তার মধ্যে একটি আসন ছিল তপসিলি জনজাতির মহিলার জন্য। এ বার সেখানে কমে ৩টি আসন তপসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তার মধ্যে একটি আসন তপসিলি জনজাতির মহিলার জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। অন্য দিকে গত বার ৭টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এ বার সেখানে বেড়ে ৯টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy